২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বাংলা দ্বিতীয় পত্র, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশ্নকাঠামো ও নম্বর বিভাজনে পরিবর্তন এনেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
গতকাল রোববার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টিকে ‘অতীব জরুরি’ উল্লেখ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক, অভিভাবক এবং ২০২৬ সালের পরীক্ষার্থীদের এই নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বাংলা দ্বিতীয় পত্রের রচনামূলক অংশে অনুবাদ প্রশ্ন বাতিল করা হয়েছে। আগে এই অংশে অনুবাদের জন্য ১০ নম্বর বরাদ্দ ছিল, যা এখন সংবাদ প্রতিবেদনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে রচনামূলক অংশে অনুচ্ছেদ রচনা, চিঠিপত্র, সারাংশ বা সারমর্ম, ভাব সম্প্রসারণ, সংবাদ প্রতিবেদন ও প্রবন্ধÑ ছয়টি বিভাগ থাকবে।
অন্যদিকে আইসিটি বিষয়ের প্রশ্নকাঠামোয় সংক্ষিপ্ত উত্তর বাদ দেওয়া হয়েছে। সংক্ষিপ্ত উত্তরের ১০ নম্বর যুক্ত করা হয়েছে বহুনির্বাচনি অংশে। ফলে এখন থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের জন্য ২৫ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। তত্ত্বীয় অংশে ২৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে এবং ব্যাবহারিক অংশে ২৫ নম্বরের কাজ করতে হবেÑ যন্ত্রসংযোগ, প্রতিবেদন প্রণয়ন ও মৌখিক পরীক্ষা মিলিয়ে এটি হবে।
এ ছাড়া ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামোতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফিন্যান্স অংশ থেকে আটটি ও ব্যাংকিং অংশ থেকে সাতটিসহ মোট ১৫টি সংক্ষিপ্ত উত্তরের প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্যে যেকোনো একটি বিভাগ থেকে অন্তত চারটি প্রশ্নসহ ১০টির উত্তর দিতে হবে। সৃজনশীল প্রশ্ন আটটি থাকবে, যার মধ্যে পাঁচটির উত্তর দিতে হবে প্রতিটি অংশ থেকে ন্যূনতম দুটি করে। বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে ৩০টি, প্রতিটির মান ১।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় নতুন প্রশ্নকাঠামো কার্যকর হবে। এ ছাড়া দশম শ্রেণির নির্বাচনি পরীক্ষায়ও (টেস্ট এক্সাম) বাংলা দ্বিতীয় পত্র, আইসিটি এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের প্রশ্ন এই নতুন কাঠামো অনুযায়ী প্রস্তুত করতে হবে।