ঢাকা শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে হতে পারে ঘূর্ণিঝড়

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০১:০৫ এএম

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে নি¤œচাপ এমনকি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এখন পর্যন্ত লঘুচাপের যে গতি-প্রকৃতি, তাতে এর প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে তত বেশি হবে না বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা। তবে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বাংলাদেশের উপকূলসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল শুক্রবার বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চার দিন আগে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়। এটি দ্রুতই দুর্বল হয়ে পড়ে। এর প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে একেবারেই পড়েনি। গতকাল সকাল ৬টার দিকে ফের দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, ‘নতুন করে যে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে, তা ঘনীভূত হয়ে নি¤œচাপে পরিণত হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। তবে এর প্রভাব পড়বে মূলত ভারতের ওড়িশা উপকূলে। তবে বাংলাদেশের, বিশেষ করে উপকূলে এর প্রভাব পড়তে পারে। এর প্রভাবে চলতি মাসের ২৯ তারিখ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টি চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত থাকতে পারে।’

নি¤œচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সদ্য শেষ হওয়া লঘুচাপটি ঘনীভূত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এখন যে লঘুচাপ এসেছে, এর গতি-প্রকৃতি এখন যতটুকু বোঝা যাচ্ছে, তাতে নি¤œচাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, তা বলার মতো সময় আসেনি।’

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নি¤œচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটির গতিপথ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের দিকে। পরে হয়তো স্থলভাগ দিয়ে বাংলাদেশের দিকে একটা অংশ আসতে পারে। তাতে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের দিকে সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে ২৯ অক্টোবরের দিকে।

এদিকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দেশের বেশির ভাগ স্থান প্রায় বৃষ্টিহীন। এতে গরম বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতেÑ ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ওই দিন সামান্য বৃষ্টি হয়েছে দু-একটি স্থানে। ওই দিন দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে, ৯ মিলিমিটার। শ্রীমঙ্গলে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র ছিল বৃষ্টিহীন।

ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস সামনে রেখে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে অধিদপ্তর। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য কোনো সতর্কবাণী নেই এবং কোনো সংকেত দেখাতে হবে না।

গতকাল সকালের আবহাওয়া অধিদপ্তরে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এই সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ফেনীতে; ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সেখানকার তাপমাত্রা ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।