দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবারও খুন হয়েছেন আলমগীর ওরফে আলম (৫৫) নামে এক যুবদলকর্মী। এলাকাবাসীর দাবি, এসব খুনের পেছনে রয়েছে অবৈধ বালু, মাটি ও গাছের ব্যবসা এবং চাঁদা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ।
গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের পাশে রসিদারপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে আলমগীর ওরফে আলম নিহত হন। নিহত আলমগীর রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী মার্কেট এলাকার ছিদ্দিক চৌধুরীবাড়ির আব্দুস সাত্তারের পুত্র। তিনি স্থানীয় যুবদলের কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে কোনো একসময়ে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা আলমগীরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর একই উপজেলার পাহাড়তলী এলাকায় আবদুল হাকিম (৫২) নামের এক ব্যবসায়ীকে মোটরসাইকেলযোগে আসা সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়ে হত্যা করে। নিহত হাকিমও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হামলার সময় তার সঙ্গে থাকা আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয়দের দাবি, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি নিয়ে রাউজানে ক্রমেই বেড়ে চলছে সংঘাত ও হত্যাকা-। জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে এ উপজেলায় অন্তত ১৭ জন খুনের শিকার হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন