বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ০১:০৭ এএম

চাঁদা না পেয়ে স্কুলশিক্ষককে অপহরণ করে নির্যাতন

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ০১:০৭ এএম

চাঁদা না পেয়ে স্কুলশিক্ষককে  অপহরণ করে নির্যাতন

বরগুনার আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলামকে চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষককে রাতভর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করায় তার শ্রবণশক্তি ৬০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান অভিযুক্ত মিজানুর রহমান, যিনি চরকগাছিয়া গ্রামের মৃত রশীদ মোল্লার ছেলে এবং আমতলী হলদিয়া ইউনিয়নের আমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক, পূর্বশত্রুতার জেরে রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। রফিকুল ইসলাম বরগুনা সদর উপজেলার গৌরচন্না ইউনিয়নের ধুপতি গ্রামের ইউনুস আলী মীরের ছেলে এবং বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক।

শিক্ষক রফিক জানান, গত ২১ অক্টোবর মিজানুর রহমান তার দলবল নিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে ঢুকে গলায় দেশীয় অস্ত্র ধরে ও স্টিলের লাইট দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তাকে অপহরণ করে কলাবাগানের একটি ঘরে রাতভর নির্যাতন চালানো হয় এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তাকে মারধরসহ মানিব্যাগ, মোটরসাইকেল ও এটিএম কার্ডসহ নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

শিক্ষক রফিকুল ইসলাম আরও জানান, নির্যাতনের ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্থানীয় শিক্ষকরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তিনি অভিযোগ করেছেন, এ ঘটনায় তার শ্রবণশক্তি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের সহযোগীরা গত ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় বেপরোয়া হয়ে লুটপাট, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, শিক্ষককে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনায় সোমবার রাতেই মামলা রুজু হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে। অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!