ঢাকা শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫

ইবতেদায়ি শিক্ষক আন্দোলন দাবি আদায়ে ‘যমুনা’ অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৫, ১২:৩৯ এএম

সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৫ দাবিতে গতকাল শুক্রবার ১৯তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা। গতকাল সকাল থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিতে দেখা যায় শিক্ষকদের। প্রেসক্লাবের সমাবেশ থেকে আজ শনিবারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী রোববার ‘প্রেসক্লাব টু যমুনা’ অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দিয়েছেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা। 
আন্দোলনকারীরা জানান, আগামীকালের মধ্যে কাক্সিক্ষত দাবি পূরণ না হলে রোববার আমরা যমুনা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি করতে বাধ্য হবো। কারণ আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
শিক্ষকরা আরও জানান, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও প্রতিহিংসার কারণে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে জাতীয়করণের কাজ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ধাপে ধাপে জাতীয়করণ ঘোষণার ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুনরায় আন্দোলনে নামে ইবতেদায়ি শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
শিক্ষকদের মূল দাবিগুলো হলোÑ ১. চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারির জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, ২. এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রেরিত ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে, ৩. অনুদানবিহীন স্বীকৃত ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে, ৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি করতে হবে এবং ৫. ইবতেদায়ি মাদ্রাসার জন্য আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন করতে হবে।
দাবি আদায়ে গত ১৩ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকরা। গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সচিবালয় অভিমুখে যাওয়ার সময় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এতে আহত অর্ধশতাধিক শিক্ষক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই ঘোষণার পর এখনো কোনো প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা হয়নি। ঘোষণার ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবার আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষকরা।