ঢাকা সোমবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৫

অর্ধশতাধিক ককটেল ফাটিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আটক ২

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৫, ০১:১৩ এএম

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে এবং কয়েকজন আহত হন। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারি কান্দি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। আহতদের মধ্যে যুবদল কর্মী সালাউদ্দিন বেপারি (৪০) ও কামাল বেপারির (৪৫) নাম পাওয়া গেছে। তারা দুজনই চেরাগ আলী বেপারিকান্দি এলাকার বাসিন্দা এবং হাতবোমার আঘাতে আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানায়, জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারিকান্দি এলাকার ইউপি সদস্য নাসির বেপারি এবং স্থানীয় তাজুল ছৈয়াল ও মুনতা বেপারি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।

শনিবার সন্ধ্যায় বিলাসপুরের বুধাইরহাট এলাকায় নাসির ও তাজুলের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিত-ার একপর্যায়ে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনার জের ধরে গতকাল রোববার সকালে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের লোকজন ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ককটেলের আঘাতে যুবদল কর্মী সালাউদ্দিন ও কামালসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। সালাউদ্দিনকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে, অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় হাতবোমা বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের একটি আট সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচজন ব্যক্তি লাল বালতি হাতে ‘এই ব্যাটা, এই ব্যাটা’ বলে চিৎকার করে হাতবোমা ছুড়ে মারছেন। মুহূর্তের মধ্যেই এলাকা সাদা ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।

এদিকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নাসির বেপারি ও স্থানীয় তাজুল ছৈয়াল এবং মুনতা বেপারির সঙ্গে বক্তব্যের জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

জাজিরা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিলাসপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষ নাশকতা ও হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আসছিল। আমরা দুজনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছি। এখন সব বাহিনীর যৌথ অভিযান চলছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যারা এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।