শুধু এক ব্যাংক থেকেই প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। দুর্নীতির দালিলিক প্রমাণ মেলায় তাকেসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছে দুদক।
গতকাল সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলাগুলো অনুমোদন হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, সালমান এফ রহমানের দুর্নীতির এটি একটি ক্ষুদ্রাংশ, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দুর্নীতির ঘটনায়ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গণঅভ্যুত্থানের পর এফ রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, শেয়ারবাজারে কারসাজির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাট ও সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৩৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।
আক্তার হোসেন জানান, দুদকের ৫ সদস্যের টিম অনুসন্ধানে খুঁজে পেয়েছেÑ শুধু জনতা ব্যাংক থেকেই ২০২১-২২ অর্থবছরে এক হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা ঋণের নামে লুটপাট করে পাচার করেছে সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপ। তারা প্রতারণার মাধ্যমে পাঁচটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার করে। এ অভিযোগে সালমান এফ রহমানকে প্রধান আসামি করে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছে দুদক।
তিনি বলেন, সালমান এফ রহমানের দুর্নীতির এটি একটি ক্ষুদ্রাংশ, পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোর বিষয়েও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক মহাপরিচালক আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় সম্পদের তথ্য খতিয়ে দেখবে।

