ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫

খুলনায় খুনোখুনি চলছেই

দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ১২:০৭ এএম

খুলনায় বিএনপি নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মামুন শেখের ওপর সন্ত্রাসীদের বোমা ও গুলিবর্ষণে মাদ্রাসা শিক্ষক নিহতের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার ফুলবাড়ীগেট মোড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বিএনপি।

বক্তারা বলেন, খুলনায় রাজনৈতিক সহিংসতা ও খুনোখুনির ঘটনা বেড়ে চলছে, অথচ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান। এ কর্মসূচিতে মহানগর ও থানা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

এদিকে পুলিশ বলছে, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। হামলাকারীদের শনাক্তে অভিযান চলছে।

এর আগে গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনার আড়ংঘাটা থানার ফুলবাড়ীগেট এলাকার কুয়েট গেটসংলগ্ন বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়ে বোমা ও গুলি হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে যোগীপোল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখ তার সহযোগীদের সঙ্গে বসেছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত প্রথমে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরে গুলি চালায়। গুলিতে মামুন শেখ, মাদ্রাসা শিক্ষক ইমদাদুল হক, কাঠমিস্ত্রি বেল্লাল খান ও মিজানুর রহমান আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমদাদুল হককে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নিহত ইমদাদুল (৫৫) ফুলবাড়ীগেট এলাকার বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। ঘটনাচক্রে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি ইউসেপ স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তাকে উদ্দেশ্য করে এ হামলা হয়নি। বিএনপি নেতা মামুন শেখকে লক্ষ্য করে এ হামলা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তারা মন্তব্য করেন।

এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিহতের স্বজনরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

নিহতের ছেলে অনিক বলেন, মাহফিলের টাকা সংগ্রহে গিয়ে আমার বাবা মারা গেছেন। তিনি এলাকার মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ ছিলেন। আব্বুর স্বপ্ন ছিল আমি ডাক্তার হব।

আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাসার বলেন, মামুন প্রায়ই এখানে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আড্ডা দেয়। আজও সে আড্ডা দিচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।