এক.
পৃথবিীর ক্লান্ত বচিত্রি জটলি সময়ে বাতাসরে দকি-বদিকি ভাঁজে নদীর গতপিথও স্তদ্ধ হয়ে যায়। চাওয়া-পাওয়ার বহেসিবেি হসিাব-নকিাশ বপিরীত ধূসর রঙে সগ্ধি সময়রে কাছে বন্দি হয় একসময়। বর্বিণ গভীর বষিাদে নীল সাগরে অন্ধকার খলো করে উজ্জ্বলতা হারয়ি।ে রাজপথে ছন্নিমূল ঢউে, চোরাগোপ্তা জলে মুছে যায় ভোররে সকাল। গহনরে হাহাকারে অকৃত্রমি স্মৃতি মলিয়িে যায় বরিহ সমীকরণ।ে এমন বহমান কষ্টে কাটে রহমান সাহবেরে জীবনগল্প। যে গল্প-ে অলৌককি জীবতি স্বপ্নরো খলো করে যায় প্রতনিয়িত। ভাগ্য রখোয় আত্মজাগরণে র্সূয ডুবে যায় বলো-অবলোয়। তবুও এগয়িে যাওয়ার গল্পে বভিোর রহমান সাহবে, সইে আশার চোখে বশিাল আকাশ! যে আকাশে র্সূযরে প্রখর রোদ খলো করে দনি-রাত, সারাবলো।
দুই.
রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক মরিপুর ১০ নম্বরে খোলা আকাশে বসছেে টসিবিরি পণ্য বতিরণ হাট। নগদ র্অথে কমে মূল্যে কছিু পণ্য নওেয়ার প্রতযিোগতিা এখান।ে যখোনে ক্ষপ্তি মনে সীমতি আয়রে টাকা বুক পকটেে নয়িে রহমান সাহবেও দাঁড়য়িছেনে র্দীঘ লাইন।ে যে লাইনরে দর্ঘৈরে গভীরতা মইেন রাস্তা থকেে আঁকা-বাকা পথ পরেয়িে মলিছেে গলরি শষেপ্রান্ত।ে রহমান সাহবে পরাজতি, আত্ম-বদেনায় যার ভাষা ক্লান্ত-পরশ্রিান্ত। এখানে শ্বাসরুদ্ধ সময়ে শুধুই চন্তিার ভাঁজ। আঁড় চোখে রহমান সাহবে দখেনে তার সম্মুখে কতজন আছনে, কখন পাবনে নর্দিষ্টি অতি প্রয়োজনীয় সুলভ মূল্যে কয়কেটি পণ্য। র্দীঘশ্বাস ছড়েে ভাবনে, অনকেটা সময় অপক্ষো করতে হবে তাক।ে কম করে হলওে সম্মুখ ভাগে আছনে প্রায় শ’খানকে মানুষ। যাদরে সবার দৃষ্টতিে কাক্সক্ষিত পণ্য পাওয়ার অভযিান।
তনি.
রহমান সাহবে কখনো ভাবনেনি তাকে এমন ভাবে অনকেটা হাত পতেে লাইনে দাঁড়াতে হব।ে বসেরকারি একটি প্রতষ্ঠিানে খুব স্বল্প বতেনে চাকরি করে বয়সরে কাছে হরেে বাধ্য হয়ে নয়িছেনে অবসর। তনিটি ময়েকেে বয়িে দয়িে স্ত্রীকে নয়িে তার এখন বঁেচে থাকার সংগ্রামরে সংসার। ৬৪ বছর বয়সে এসওে একটি প্রতষ্ঠিানে স্বল্প বতেনে কাজ করতে হচ্ছে তাক,ে নতিান্ত সংসাররে প্রয়োজন।ে এসব ভাবতইে চোখ জ¦লে ওঠ,ে বষিাদরে জলাধার চোখরে কোনে শুকয়িে বর্বিণ রূপ নয়ে। অভমিানী মনে বৃষ্টবিলিাসরে স্পন্দন এখানে দখো মলেে না। এখানে দখো মলেে শুধু কষ্টরে পাহারে ধুলোর মাখামাখ।ি মুখে মাস্ক লাগয়িে এমন ভাবে চহোরাকে আড়ালরে চষ্টো, যনে কউে না চনেনে। চনিে ফলেলে ছড়য়িে পড়বে খবর, রহমান সাহবে টসিবিরি লাইনে দাঁড়য়িছেনে! এতকছিু ভাবলওে রহমান সাহবে সরছনে না লাইন থকে।ে স্থরি দাঁড়য়িে অপক্ষো তার, কখন পৗেঁছবনে গন্তব্য।ে তারপর বাড়ি ফরো। বাড়তিে নকিট একজন মানুষরে অধরি অপক্ষো, তার জন্য। বাড়ি ফরিলইে অনকেটা চাঁদ পাওয়ার মতো করে স্ত্রী বলবে এসো, গোসল করে নাও আমি দ্রুত রান্না চড়য়িে দইে।
চার.
জীবনরে শষে প্রান্তে এসে রহমান সাহবে বুঝতে পারছনে তনিি অংক মলোতে পারনেন।ি জীবন-অংক! যখোনে যোগফলে শুধুই র্ব্যথতার চত্রি। খোলা রাজপথে আকাশরে দকিে তাঁকয়িে হঁেটে বড়েয়িে ধুলোমানব হয়ে কাটয়িছেনে সারাবলো। সময়রে কাছে বন্দি হয়ে নরিন্তর পথ হারয়িে সীমাহীন দুঃখকে সঙ্গী করে এখন তপ্তদনি চোখরে ক্যানভাস।ে সামনইে সামান্য হট্টোগোল, ষার্টধ্বাে শরীর নয়িে রহমান সাহবে উঁকি দনে কি হয়ছেে দখেত।ে কার আগে যে যাবনে, কে নবেনে এখানে যনে সইে প্রতযিোগতিা। অসংখ্য মানুষরে কোলাহোল- দুচোখে ভয়ঙ্কর ক্ষোভ, কউে যনে সরিয়িালরে বাহরি থকেে নতিে না পারনে। বারবার পছেন থকেে সইে হুঙ্কার। রহমান সাহবে অবশ্য এসবরে মধ্যে নইে। তনিি খুব ধীরস্থরি হয়ে পণ্যটা নয়িে যতেে পারলইে হলো। পরচিতি যনে কউে না দখেনে, কউে না চনেনে সটোই তার র্সবােচ্চ চষ্টো। অবশ্য এ চষ্টোয় অনকেটা সফল স।ে তনিি এমন ভাবে নজিকেে আড়াল করার কাজে নমিগ্ন ছলিনে, যনে আড়ালরে পথমন্ত্র পাঠ। মাথায় পড়ছেনে ক্যাপ, সঙ্গে রয়ছেে মাস্ক।
পাঁচ.
এক সময় লম্বা লাইন ক্রমশ ছোট হতে থাক।ে মনরে কপাটে গভীর উল্লাস, নকিট আলো যনে ধরা দচ্ছিে হাতরে কাছ।ে এর জন্য অবশ্য সাধনাও কম নয়। মধ্যদুপুর থকেে লাইনে দাঁড়য়িে কাটয়িে দয়িছেনে প্রায় সাড়ে তনি ঘণ্টা! বকিলেরে ছায়া কাঁধে আমন্ত্রতি অতথিরি মতো এসে পড়ছেে এবলোয়। এখন কাক্সক্ষিত পণ্য ছােঁয়ার অপক্ষো। লাইন ক্রমশ ছোট হচ্ছ,ে পাওয়ার আনন্দ বাড়ছ,ে সঙ্গে বাড়ছে উৎকণ্ঠাও। তনিি কি শষে র্পযন্ত পাবনে? ট্রাক তো প্রায় খালি হওয়ার পথ।ে নজিকেে নজিরে প্রশ্ন। তার চহোরায় সৌর্ন্দয হাসি বলিীন হওয়ার পথ।ে ট্রাকরে প্রায় কাছাকাছি রহমান সাহবে। আর চারজন আছনে তার সামন।ে এভাবে তনি, দুই, এক...। হঠাৎ ট্রাক থকেে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা আস,ে আজকে সব মাল শষে হয়ে গছে।ে আর নাই, আপনারা সবাই চলে যান, আবার চারদনি পর আইসনে। রহমান সাহবেরে আগরেজন পয়েছেনে, যখন তনিি নতিে যাবনে তখনই মালামাল শষেরে ঘোষণা।
ছয়.
রহমান সাহবেরে হৃদয়-ক্ষরতি, যনে প্রাণহীন। অবশ্য এমন শষে মুর্হূতে বঞ্চতি হওয়ার ইতহিাস তার জীবন গল্পে নতুন নয়। অসংখ্যবার এমন হয়ছে।ে পাতায়-পাতায় বষিাদরে চহ্নি। তবুও অস্থরি হননি কখনো, বরাবরই স্থরি থকেছেনে, এবারও। কন্তিু এবার অবচেতেন মনে একটি প্রশ্ন এসছে-ে র্অথহীন জীবন,ে র্অথরে কাছে বন্দি নজিস্ব স্বাধীনতা। কনে? শূন্য হাতে বধ্বিস্ত মনে র্দীঘলাইন থকেে বদিায় ননে রহমান সাহবে।