ফুলকপি একটি পুষ্টিকর সবজি, যা ভিটামিন সি, কে, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি একটি ব্রাসিকা পরিবারের সবজি এবং সঠিকভাবে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। তবে থাইরয়েড বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের ফুলকপি খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি থাইরয়েড হরমোন এবং রক্ত জমাট বাঁধার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ফুল কপির চাষপদ্ধতি
বীজতলা প্রস্তুতকরণ:
ফুলকপির চারা বীজতলায় উৎপাদন করুন। ১দ্ধ৩ মিটার বীজতলায় সমপরিমাণ বালি, মাটি ও জৈবসার মিশিয়ে ঝুরাঝুরা করে তৈরি করুন। দ্বিতীয় বীজতলায় চারা রোপণের ৭/৮ দিন আগে প্রতি বীজতলায় ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি/ডিএপি ও ১০০ গ্রাম এমওপি সার ভালোভাবে মিশিয়ে দিন। চারা ঠিকমতো না বাড়লে, প্রতি বীজতলায় প্রায় ১০০ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিন। বীজ গজানোর ১০-১২ দিন পর গজানো চারা দ্বিতীয় বীজতলায় স্থানান্তর করুন।
চারা রোপণ:
ফুলকপি চাষের জন্য ৩০ দিন বয়সের চারা লাগাতে হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ২৪ ইঞ্চি এবং সারিতে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১৮ ইঞ্চি হবে। চারা রোপণের সময় সতর্ক থাকুন, যেন শিকড় মুচড়ে বা বেঁকে না যায়। এতে চারা মাটিতে প্রতিষ্ঠা পেতে দেরি হয় ও বাড়ন কমে। রোপণের প্রথম কয়েক দিন প্রখর রোদে যাতে চারা ঝিমিয়ে না যায় তার জন্য কাগজ বা কলার খোল দিয়ে ছায়া দিন।
সেচ ব্যবস্থাপনা
১. রোপণের পর প্রথম ৪-৫ দিন একদিন পরপরই সেচ দিতে হবে। পরবর্তীতে ৮-১০ দিন অন্তর বা প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দিলেই চলবে।
২. সেচ পরবর্তী জমিতে ‘জো’ আসলে ফুলকপির স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য মাটি চটা ভেঙে দিতে হবে এবং জমির আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
৩. সারের উপরি প্রয়োগ যথাসময়ে করতে হবে। উল্লেখ্য, সারের উপরি প্রয়োগের পর অবশ্যই সেচ দিতে হবে।
৪. পানি সেচ ও নিষ্কাশনের জন্য বেড সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে।