ঢাকা বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

স্মরণে: বেগম সিতারা চৌধুরী

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৩:২৭ এএম

বেগম সিতারা চৌধুরী। প্রয়াত বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমান চৌধুরীর স্ত্রী। গত ৬ আগস্ট ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স ছিল ৮৮ বছর। তিনি ১৯৩৭ সালে কোলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ জানে আলম অবিভক্ত বাংলার একজন সফল আইনজীবী ছিলেন, যিনি দেশ বিভাগের পর ১৯৫০ সালে ঢাকায় আগমন করেন এবং ১৯৮৫ সালে তার মৃত্যুর আগপর্যন্ত বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

তার প্রপিতামহ শাহ সুফি ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহ.) ছিলেন সুফি সাধক, ইসলাম প্রচারক এবং ফারসি ভাষার কবি, যিনি অবিভক্ত বাংলার পির-মুর্শিদ-ওয়ালিকে দীক্ষা দিয়েছিলেন এবং বিখ্যাত মহাকাব্য দিওয়ান-ই-ওয়াইসী রচনা করেছিলেন।

১৯৫৫ সালে উলানিয়া, বরিশালের জমিদার খান বাহাদুর আবদুল লতিফ চৌধুরীর ছেলে আবদুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি বরিশাল বি এম কলেজ থেকে বি এ ডিগ্রি অর্জন করেন। একজন দেশপ্রেমিক, সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে বেগম সিতারা ‘সময়ের কথা’ বইটি লেখেন, যা সততা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি আবেগপূর্ণ আহ্বান হিসেবে কাজ করে।

বেগম সিতারা ছিলেন সাদাচার, দয়া, ধার্মিকতা, সততা ও স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক। দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদ ও মাদ্রাসা স্থাপনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন, যিনি সর্বদা চিন্তাভাবনা এবং কর্মে অন্যদের নিজের চেয়ে এগিয়ে রাখতেন এবং তার দানশীল স্বভাব পরিবার বা অপরিচিতের মধ্যে পার্থক্য করতেন না। তিনি তার চার সন্তান এবং ১০ জন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।