এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ম্যাচ কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে আবাহনী লিমিটেড। গতকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রতিপক্ষের আক্রমণে শুরুতেই কোণঠাসা হয় আবাহনী। নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পারল না। প্রথমার্ধে ভালো খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে ২টি গোল হজম করে তারা। যে কারণে চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ থেকে বিদায় নিল মারুফুল হকের দল। এর আগে ২০১৯ সালে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে খেলেছিল আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। ২০২২-২৩ মৌসুমে এএফসি কাপ বিলুপ্ত করে দেয় এএফসি। এ বছর থেকে চালু হয়েছে চ্যালেঞ্জ লিগ।
জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা বলে আত্মবিশ্বাসী ছিল আবাহনী। শেখ মোরসালিন, সুলেমানে দিয়াবাতেকে নিয়ে ভালো কিছুর স্বপ্নে বিভোর ছিল তারা। কিন্তু মাত্র দুই বছর আগে পথচলা শুরু করা মুরাস ইউনাইটেডের বিপক্ষে তেমন কিছুই করে দেখাতে পারল না বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলে আবাহনীর রক্ষণে ভীতি ছড়াতে থাকে মুরাস। ষষ্ঠ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে একজন ডামি করলে অন্য প্রান্তে পেয়ে যান ওলেহ মারচুক। এই ফরোয়ার্ডে প্লেসিং শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে যায়। তিন মিনিট পর কোদজে চাবেলের জোরাল শট ফিস্ট করে ফেরান মিতুল মারমা। ৯ মিনিট পর আবারও আবাহনীর ত্রাতা মিতুল। এবার, আল ইগুলভের কোনাকুনি শট আটকান তিনি। মুরাস ইউনাইটেডের আক্রমণ সামলে অষ্টাদশ মিনিটে ইব্রাহিমের পাস ধরে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন দিয়াবাতে, কিন্তু ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান। তবে মালির এই ফরোয়ার্ড দ্রুত উঠে শট নিলেও তা ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
চার মিনিট পর ঝাঁপিয়ে কোদজো চাবেলের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান মিতুল। ২৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ভালো সুযোগ আসে আল আমিনের সামনে। গোলকিপার একটু এগিয়ে এসে পথ আগলে দাঁড়ালে শট নেওয়ায় জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ে তার সামনে। তার পরও তিনি শট নিয়েছিলেন, কিন্তু গায়ের সাথে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডার দ্রুত পা চালিয়ে ক্লিয়ার করেন। ৩২ মিনিটে দিয়াবাতের পাসে ইব্রাহিমের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। মিতুলের প্রতিরোধ ভাঙে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই।
আন্দ্রে বাতসুলার ক্রসে বক্সের ফাঁকায় থাকা আত আই জুমাসেভ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন; আটকানোর কোনো সুযোগই পাননি মিতুল। ৫২ মিনিটে ইগুলভের শট অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে ব্যবধান হয়নি দ্বিগুণ। ৭২ মিনিটে দিয়াবাতের পাসে মোরসালিনের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলকিপার। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আরেক গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আবাহনী। ইয়াসিন খানের বাড়ানো পাস ধরতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে কামরুল ইসলাম তুলে দেন জুমায়েভের পায়ে। মিতুল পারেননি এই ফরোয়ার্ডের জোরাল শট আটকাতে।