মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় গুলিবিদ্ধ রায়হানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হান মারা গেছেন।
ঘটনার আগের দিন, সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুরিয়া গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহত হন আরিফ মীর (৩৫)। গুলিবিদ্ধ হন আরিফ মীরের চাচাতো ভাই ইমরান খান (২২) ও পথচারী রায়হান খান।
গুরুতর অবস্থায় ইমরানকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং রায়হানকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দুজনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। নিহত রায়হান খান চরডুমুরিয়া গ্রামের খানবাড়ির রুস্তম খানের ছেলে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আতাউর রহমান আতিক মল্লিক ও মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের ওয়াহিদ মোল্লার সমর্থক শাহ কামাল গ্রুপের সঙ্গে একই এলাকার আওলাদ হোসেনের সমর্থক আরিফ মীরের গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
সোমবার সকালে শাহ কামালের নেতৃত্বে একদল হামলা চালায়। হামলার সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করা হয়, এতে আরিফ, ইমরান ও রায়হান গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, আরিফকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, সোমবার সকালেই আরিফের মৃত্যুর পর মোল্লাকান্দিতে সারা দিন ধরে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপারেশন) মো. ফিরোজ কবির জানান, রায়হান একজন নিরপেক্ষ পথচারী ছিলেন। তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলের মোল্লাকান্দিতে খুন ও পাল্টা খুনের ঘটনা ঘটছে। গত ২ নভেম্বর রাতে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি ক্লিনিকের সামনে তুহিন দেওয়ান (২২) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়। নিহত তুহিন স্থানীয় আতাউর রহমান মল্লিক গ্রুপের সমর্থক ছিলেন। এই সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে।


