নথিপত্র জালিয়াতি করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিম্নমানের লিফট সরবরাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৫০ লাখের লিফট ২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬০ টাকায় কেনা হয়েছে। এ নিয়ে রাজশাহী সেনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. সাইদুল হোসেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর একটি অভিযোগ করেন।
মো. সাইদুল হোসেন অভিযোগে বলেন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হায়াত মুহাম্মদ শাকিউল আজম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রাদার্স কন্সট্রাকশন মিলে ব্যাংক এলসি ও আমদানির নথিপত্র জালিয়াতি করেছেন। তিনি বলেন, নির্মাণাধীন ভবনে নতুন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) একটি লিফট থেকেই প্রায় ৫০ লাখ টাকা লাভ করতে চেয়েছিল ব্রাদার্স কন্সট্রাকশন। জালিয়াতি ধরা পড়ার পর তাকে ওই লিফট অপসারণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। দরপত্রে চাওয়া হয় ‘এ’ ক্যাটাগরির লিফট। কিন্তু ঠিকাদার ‘সি’ ক্যাটাগরির লিফট ক্রয় করেন। এতে দামের পার্থক্য হয় প্রায় অর্ধকোটি টাকা। অফিসের একজন কর্মচারী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, উক্ত ঠিকাদার লিফট, জেনারেটর, সাবস্টেশন বিধিমোতাবেক অনুমোদনবিহীন বিল প্রদান করা হয়েছে।
একাধিকবার চেষ্টা করে ব্রাদার্স কন্সট্রাকশনের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হায়াত মুহাম্মদ শাকিউল আজম জানান, এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকল নথিপত্র ও লিফটটি যাচাই-বাচাইয়ের কাজ করছে তদন্ত কমিটি।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের একটি সূত্র জানান, দরপত্রে এ ক্যাটাগরির লিফট চাওয়া হয়েছিল। সরবরাহ করা লিফটের গায়েও জাপানি ফুজির কোম্পানির স্টিকার আছে। কিন্তু এর সপক্ষে তদন্ত কমিটির কাছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। স্থাপিত লিফটটির দাম ৫০ লাখ হতে পারে। আর আগেও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এরপরও ২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬০ টাকায় লিফটটি স্থাপন করা হয়েছে।

