দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, শুধু শাস্তি দিয়ে দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে পারস্পারিক আন্তরিকতা ও সুসম্পর্কই পারে দুর্নীতি অনেকাংশে লাঘব করতে। দুদক সেবাদাতা ও গ্রহীতাদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রংপুর নগরীর স্টেশন রোডে দুদকের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গত এক বছরে অনেক মামলা হয়েছে এবং পুরোনো অনেক মামলা বিগত সময়ে ধামাচাপা রয়েছিল, সেই মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন মামলাগুলো দেখা হচ্ছে গুরুত্ব দিয়ে। এ ছাড়া অনেক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, বিশেষ করে সেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকে, সেগুলো প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে নিয়মিত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েকটা মামলা চলমান। আরও কয়েকটা বিষয় তদন্তাধীন। তদন্ত করে যদি শেষ পর্যন্ত প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে মামলা করা হবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কয়েকটি নিউজ পেপারে এসেছে, এ সরকারের কয়েকজনের বিরুদ্ধে। প্রধান উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার। আমরাও বিধিবদ্ধভাবে কাউকে ছাড় দেব না। তবে কারো দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে, তা যেন সুনির্দিষ্ট হয়। আমরা যদি শুধু বলি কোটি কোটি টাকা অমুক আত্মসাৎ করেছেন, দুর্নীতি করেছেন বললে হবে না। বলতে হবে কোথা থেকে করেছেন, কীভাবে করেছেন, এই অংশগুলো যদি আমরা প্রমাণ করতে না পারি, তাহলে শেষ পর্যন্ত সেই অভিযোগ টিকবে না। এমনটি উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে, সেই অভিযোগগুলো যদি সুনির্দিষ্ট হয় তাহলে নিয়ে আসুন।’
এরপর দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।