ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

মায়ের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমায় বাড়ছে নবজাতকের মৃত্যু

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০১:৩০ এএম

সচেতনতার অভাবে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা কমার কারণে নবজাতক মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরাম আয়োজিত ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৫’, শিশু স্বাস্থ্যের জন্য মায়ের দুধের গুরুত্ব, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং মায়ের দুধের বিকল্প দুগ্ধ ব্যবহারের আইন’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানান। 

এ সময় বিশেষজ্ঞরা জানান, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসক কৌটা দুধের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা এসব দুধ নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য প্ররোচিত করেন। ফলে নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ক্রমেই নি¤œমুখী। অথচ জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে নবজাতককে বুকের দুধ দেওয়া হলে মৃত্যুহার কমানো সম্ভব। এতে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার হারও অনেকটা কমানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে শরিয়া আইন অনুযায়ী পর্যাপ্ত তথ্য রেখে মিল্ক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।  

তারা আরও জানান, মায়ের বুকের দুধ পান করলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি তাদের মস্তিষ্কের গঠন উন্নত হয়। ফলে ওইসব শিশু অন্য শিশুদের চেয়ে আট গুণ বেশি মেধাবী হিসেবে গড়ে ওঠে। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত এক দশক ধরে নবজাতককে মায়ের দুগ্ধ পান করানোর হার আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এর কারণ হিসেবে শিশুর পরিবারের অসচেতনতা ও কৌটার দুধ ব্যবসায়ীদের প্রভাব অনেকাংশে দায়ী। তা ছাড়া মাতৃদুগ্ধ পান বিষয়ে আইন না জানার কারণে নবজাতককে তা পান করানোর প্রবণতা কমেছে। এতে শিশুর অপুষ্টি, রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে।  

অনুষ্ঠানে বলা হয়, বাংলাদেশে মাত্র শতকরা ৪০ জন নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। অনেক সময় শিশুর জন্য কৌটার দুধ বানানোর সময় জীবাণু সংক্রমণ ঘটছে, যাতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। পরিবারেরও কৌটা কেনা ও চিকিৎসায় বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক নবজাতক জন্ম দেওয়ার সময় মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। এসব শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য মিল্ক ব্যাংক চালুর চেষ্টা করা হলেও তা আলোর মুখ দেখছে না।