মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বেদনাদায়ক দুর্ঘটনার ক্ষত মুছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে আসতে যুক্ত করা হয়েছে নানাবিধ সহশিক্ষা কার্যক্রম। অভিভাবকদের সার্বিক সহযোগিতায় স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। পাঠদানের পাশাপাশি অব্যাহত রয়েছে কাউন্সেলিং সেবা কার্যক্রম। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বেদনাদায়ক দুর্ঘটনার ক্ষত মুছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে আসতে যুক্ত করা হয়েছে নানাবিধ সহশিক্ষা কার্যক্রম। এরই ধারাবাহিকতায় মাইলস্টোন কলেজে শুরু হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে লেখা দেয়াল পত্রিকার প্রদর্শনী। ছাত্র-ছাত্রীদের সৃজনশীলতা, শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা ও লেখার দক্ষতা প্রকাশের সুযোগস্বরূপ প্রতিবছর মাইলস্টোন কলেজ দেয়াল পত্রিকা প্রদর্শনীর আয়োজন করলেও এ বছর তা অনুষ্ঠিত হচ্ছে একটি ভিন্নতর আবহে।
গত ১৩ আগস্ট কলেজের মেইন ক্যাম্পাসে এবং ১৪ আগস্ট উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত স্থায়ী ক্যাম্পাসে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত দেয়াল পত্রিকা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর জহিরুল হক, মিজানুর রহমান খান, উম্মে সালমা রউফ, ইফতেখার হোসেন প্রমুখ।
প্রদর্শনীতে স্থান পায় নবম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত (বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি ভার্সন) ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে লেখা দেয়াল পত্রিকা। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা পত্রিকাগুলোর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা মূলত তাদের শৈল্পিক চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে চেয়েছেন। হাতে লেখা এসব দেয়াল পত্রিকার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা তুলে ধরতে চেয়েছেন সমাজবাস্তবতা, বৈশ্বয়িক অবস্থার কথা, অর্থনীতি, রাজনীতি, প্রকৃতি, বিজ্ঞান ভাবনা এবং আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্য।
মাসব্যাপী দেয়াল পত্রিকা প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে প্রতিটা দেয়াল পত্রিকা ঘুরে দেখেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম। এ সময় তিনি পত্রিকাগুলোর বিষয়াদি নিয়ে কথা বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে। প্রসঙ্গক্রমে মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম জানান, ‘বিমান দুর্ঘটনায় আমরা যাদের হারিয়েছি তাদের প্রত্যেকের জন্য আকুল শ্রদ্ধা ও স্মরণ। প্রার্থনা করি, আহতরা যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারে এবং হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আমরা সমব্যথী।’