ঢাকা রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

এএফপি’র প্রতিবেদন

পুতিনের ইউক্রেন দখল পরিকল্পনায় সায় দিচ্ছেন ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম
পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল দখল করার বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার একটি প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়েছেন যেখানে মস্কো ইউক্রেনের দুটি অঞ্চল পুরোপুরি দখল করবে এবং আরও দুটি আংশিক দখলকৃত এলাকায় সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে। 

সূত্র জানায়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মূলত চান ইউক্রেন দনবাস অঞ্চল ছেড়ে দিক, যা পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রদেশ নিয়ে গঠিত। ট্রাম্পও এ ব্যাপারে সমর্থন দিতে আগ্রহী।

শনিবার (১৬ আগস্ট) ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপে এই বিষয়টি আলোচনা করেন। এর আগে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।  

কিন্তু জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দনবাস কোনোভাবেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সংবিধান তাঁকে কোনো ভূখণ্ড ছাড়তে অনুমতি দেয় না। তবে তিনি ট্রাম্প ও পুতিনের সঙ্গে এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।

এদিকে ইউরোপীয় দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইউক্রেনের কিছু অংশ সরাসরি রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিয়ে যুদ্ধ শেষ করার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। সেই পরিকল্পনায় সমর্থনও দিয়েছেন ট্রাম্প। 

  

দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন তাঁর শর্ত পূরণ হলে রুশ সেনারা আর এগোবে না। ট্রাম্প শনিবার (১৬ আগস্ট) ফোনালাপে সেই বার্তাই জেলেনস্কির কাছে পৌঁছে দেন।

এএফপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এসব দাবি মেনে নিলে খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে আর অগ্রসর হবেন না মস্কোর সৈন্যরা। অর্থাৎ সেখানে এক ধরনের যুদ্ধবিরতি দেখা দেবে। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছু নির্ভর করছে পুতিনের কথার ওপর।

ইউক্রেনে হামলার কয়েক মাস পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়া চারটি অঞ্চল দখলের দাবি করেছিল, যদিও এখনো তারা সেসব পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি। বর্তমানে রাশিয়ার বাহিনী লুহানস্ক অঞ্চলের প্রায় সব অংশ এবং দোনেৎস্কের বেশির ভাগ এলাকা দখল করে আছে। তবে জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসনের মূল নগরীগুলো এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ ছাড়া ২০১৪ সালে ঝটিকা হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় রাশিয়া।