ভাড়া নিয়ে অটোরিকশাচালকের সঙ্গে পুলিশের বাগবিত-াকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ডেমরায় এলাকাবাসীর ওপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে ডেমরা পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাঠিসোটা, রড ও পাইপ নিয়ে সিভিল ড্রেসে রাজাখালী এলাকায় শতাধিক পুলিশ সদস্য এ হামলা চালায়।
এলাকাবাসীর দাবি, হামলার সময় অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন পুরুষ ও ৪ জন নারীকে বেধড়ক পেটানো হয়। তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে পুলিশ সদস্যরা তাদের ওপরও হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ অন্তত ৮ থেকে ১০টি দোকান ভাঙচুর করে। আদিল স্টোর নামের একটি দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা এবং পাশের ফার্নিচারের দোকান থেকে দুটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন খোয়া যায় বলে অভিযোগ করেছেন দোকান মালিক আমির হোসেন ও রাজু আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা সিনেমা স্টাইলে তা-ব চালানোর পর পুলিশ সদস্যরা ব্যারাকে ফিরে যান। নামাজ শেষে মুসল্লি ও এলাকাবাসীরা বাইরে বের হলে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তখন পুলিশ সদস্যরা স্থানীয়দের গুম ও প্রাণনাশের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
খবর পেয়ে ডেমরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. আকরাম ও ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের অভিযোগ, হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। কারো মাথা ফেটে গেছে, কেউ রক্তাক্তভাবে জখম হয়েছেন। গুরুতর আহতদের কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
গতকাল এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং স্থানীয়দের বুঝিয়ে শান্ত করি। যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন