শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ১২:০৩ এএম

শ্রীলঙ্কার সাবেক  প্রেসিডেন্ট রনিল  বিক্রমাসিংহে গ্রেপ্তার

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ১২:০৩ এএম

শ্রীলঙ্কার সাবেক  প্রেসিডেন্ট রনিল  বিক্রমাসিংহে গ্রেপ্তার

সরকারি তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আর্থিক অপরাধ তদন্ত বিভাগ। এ ঘটনা শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্রমাসিংহেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে লন্ডন সফরের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই সময় তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার স্ত্রীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এই সফরে গিয়েছিলেন। এই সফরের জন্য সরকারি তহবিলের অপব্যবহার করেছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রনিল বিক্রমাসিংহে গতকাল সকালে নিজেই কলম্বোর আর্থিক অপরাধ তদন্ত বিভাগে (এফসিআইডি) আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিবৃতি দিতে এসেছিলেন। সেখানেই তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।

রনিল বিক্রমাসিংহের গ্রেপ্তার শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তার সমর্থকেরা এই গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করছেন। তারা মনে করছেন, এটি বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের একটি কৌশল। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, দুর্নীতি দমন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিক্রমাসিংহে নিজে একজন আইনজীবী। তিনি ছয়বার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা দেশের একজন রাজনীতিক হিসেবে রেকর্ড। ২০২২ সালে দ্বীপরাষ্ট্রটির ভয়াবহ আর্থিক সংকটের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট হন।

ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া রাজাপক্ষে শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে গিয়ে পদত্যাগ করলে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা বিক্রমাসিংহে দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম নেওয়া বিক্রমাসিংহে ১৯৭৮ সালে ২৯ বছর বয়সে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুনিয়াস রিচার্ড জয়বর্ধনের (তার কাকা) মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে তরুণ মন্ত্রিসভার সদস্য হন। ১৯৯৪ সালে ধারাবাহিক হত্যাকা-ে দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ার পর বিক্রমাসিংহে ইউএনপির নেতা হন।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!