ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

সামিটের ফরিদ খান ও বিটিআরসির  মহিউদ্দিনসহ ৭ জনের নামে মামলা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ০৬:৫৮ এএম
বিটিআরসি

রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ ও সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফরিদ খানসহ সাতজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ২৪ লাখ ৫২ হাজার ৬৫২ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক রুহুল আমিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑ বিটিআরসির প্যানেল আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব ও বিটিআরসির চার সাবেক কমিশনার আমিনুল হক বাবু (আইন), শেখ রিয়াজ আহমেদ (স্পেকট্রাম), ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) এবং দেলোয়ার হোসাইন (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস)।

মামলার এজাহারে দুদক বলেছে, পারস্পরিক যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজে লাভবান হতে এবং অপরকে লাভবান করতে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের শেয়ার হস্তান্তরের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সরকারের প্রাপ্য ১০ কোটি ২৪ লাখ ৫২ হাজার ৬৫২ টাকা রাজস্ব আদায় না করে আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়।

এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ৯ এপ্রিল সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড বিটিআরসির কাছে আবেদন করে ১৪ কোটি ২০ লাখ ৮৮ হাজার ১৩৬টি নতুন শেয়ার ইস্যু করার ইচ্ছা জানায়। এর মধ্যে ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯২১টি শেয়ার ইস্যু করা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক গ্লোবাল এনার্জিস হোল্ডিংস লিমিটেডের অনুকূলে। ৪ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজার ১১৯টি শেয়ার ইস্যু হয় মরিশাসভিত্তিক সিকোইয়া ইনফ্রা টেক লিমিটেডের নামে। বাকি শেয়ারগুলো আগের শেয়ারহোল্ডার আরিফ আল ইসলামের অনুকূলে ইস্যু হয়। নতুন শেয়ার কাঠামো অনুযায়ী, সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের মূলধন প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পায়। আগে ৫ কোটি ৭ লাখ শেয়ার ছিল, যা নতুনভাবে ১৪ কোটি ২১ লাখ শেয়ার ইস্যু করে ১৯ কোটি ৮২ লাখ শেয়ারে উন্নীত হয়।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, লাইসেন্সধারী কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তনের আগে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। শেয়ার হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শেয়ার বিক্রীত মূল্যের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে আইনে। বিটিআরসি যখন সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডকে শেয়ার হস্তান্তরের অনুমতি দেয়, তখন ওই মূল্য পরিশোধ করা হয়নি এবং লেক্স কাউন্সিলের মতামতের ভিত্তিতে অবৈধ সুবিধা দেওয়া হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড সরকারি অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে শেয়ার হস্তান্তর করেছে, অথচ শেয়ার হস্তান্তর মূল্য পরিশোধ করা হয়নি।