বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জন্য দুটি আধুনিক বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ ক্রয়ের প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি ৫৫-৬৬ হাজার ডিডব্লিউটি ক্ষমতাসম্পন্ন এই জাহাজ দুটির মোট ব্যয় হবে ৭৬ দশমিক ৬৯৮ মিলিয়ন মা.ড., যা দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্যের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ কম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপিস্থত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক, নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) মুহাম্মাদ আনোয়ার পাশা, নির্বাহী পরিচালক (প্রযুক্তি) ইঞ্জি. মোহাম্মদ ইউসুফ, সচিব আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহে দুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সাজিয়া পারভীনসহ সব বিভাগীয় প্রধান।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের পর তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দাখিল করে। মূল্যায়ন শেষে ঐবষষবহরপ উৎু ইঁষশ ঠবহঃঁৎবং খখঈ-এর প্রস্তাবকে সর্বাধিক উপযোগী হিসেবে সুপারিশ করা হয়। তাদের প্রস্তাবিত জাহাজে রয়েছে কনট্রা রোটেটিং প্রপেলার, এরোডাইনামিক ব্রিজ ডিজাইন, মডার্ন হল ফর্ম, ওগঙ ঞরবৎ-ওওও সার্টিফায়েড ইঞ্জিনসহ পরিবেশবান্ধব ও জ¦ালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, চুক্তি স্বাক্ষরের পর আগামী সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর মাসে দুটি জাহাজ বিএসসিকে হস্তান্তর করা হবে। জাহাজ দুটি সংযোজনের ফলে করপোরেশনের বহরে প্রায় ১,২০,০০০ ডিডব্লিউটি পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের সমুদ্রবাণিজ্যে বড় ধরনের অগ্রগতি আনবে। বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের বড় অংশই সমুদ্রপথে আনা-নেওয়া করা হয়। বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৮২ শতাংশ পণ্যই সমুদ্রপথে পরিবহন করা হয়, যেখানে মূলত চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দুটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। কনটেইনার, তেল পরিবহনকারী জাহাজ ও সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজে এসব পণ্য পরিবহন করা হয়। এসব পণ্যের বড় অংশই পরিবহন হচ্ছে বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজে। কারণ, বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা কম।
আধুনিক কারিগরি বৈশিষ্ট্য ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিসমৃদ্ধ এ দুটি জাহাজ বহরে যুক্ত হলে বিএসসির নিজস্ব পরিবহন সক্ষমতা প্রায় ১,২০,০০০ ডিডব্লিউটি বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের সমুদ্রবাণিজ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হবে বলে জানিয়েছে বিএসসি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন