তথ্য গোপন, আমন্ত্রণপত্র জালিয়াতি ও ফৌজদারি মামলার তথ্য আড়ালসহ নানা অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওএসডি সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা দোজাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সরকারি চাকরিতে ইস্তফা প্রদানের পর তথ্য গোপন করে পুনরায় যোগদান, যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে আমন্ত্রণপত্র পরিবর্তন করে কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করা এবং ফৌজদারি মামলায় কারাভোগের তথ্য গোপন করার। গত বুধবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের স্বাক্ষরে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডা. ফাতেমা দোজার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(খ) ও ৩(গ) মোতাবেক অসদাচরণ ও পলায়নের দায়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর বিভাগীয় মামলা (নং ৪২/২০২৩) রুজু হয়। তিনি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানি না চাওয়ায় অভিযোগ তদন্তের জন্য ওই বিধিমালার বিধি ৭(৩) অনুসারে একজন তদন্ত কর্মকর্তাও নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ডা. ফাতেমা দোজাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং কেন এই দ- তার ওপর আরোপ করা হবে না, তা জানানোর নির্দেশ দিয়ে দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। ডা. ফাতেমা দোজা দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিলেও সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। তিনি আরও জানান, এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মকমিশনের মতামত চাওয়া হলে কমিশন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
ডা. ফাতেমা দোজাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে পেশ করা হলে রাষ্ট্রপতি ওই প্রস্তাব অনুমোদন করার পর সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ৪(৩) (ঘ) মোতাবেক ডা. ফাতেমা দোজাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে জারীকৃত ওই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ রয়েছে।