বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৭:৩৫ এএম

বললেন মান্না

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন  না হলে দেশ গভীর  সংকটে পড়বে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৭:৩৫ এএম

নির্বাচন

নির্বাচন

ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থান রোধ করতে হলে সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে। রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীÑ সবাইকে একত্র করতে হবে। না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভয়ংকর পরিণতি ভোগ করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। আলোচনা সভার আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনা, প্রশাসনের নীরবতা এবং সন্ত্রাসী শক্তির দাপট দেখা গেল। একটা ছোট্ট ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রামে দুই ছাত্র আইসিইউতে ভর্তি, যেকোনো সময় মৃত্যু হতে পারে। অথচ পুলিশ সেখানে যায়নি, পরে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে। প্রশাসনের এমন উদাসীনতা নির্বাচনের জন্য বিপজ্জনক বার্তা বহন করছে। 

সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে বলে জানান মাহমুদুর রহমান মান্না। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তিনি যদি সব দলকে একত্র করতে না পারেন, তাহলে দেশের মানুষ আশা হারাবে। বিএনপি প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ভালো নির্বাচনের জন্য বিএনপিরও দায়িত্ব নিতে হবে। শুধু অভিযোগ করে কাজ হবে না। এত বহিষ্কার আর অভিযোগের রাজনীতি মানুষকে আস্থা দিতে পারছে না। দেশের মানুষ এখন নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়। বিএনপির দায়িত্ব হলো তারা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে চায়, তা প্রমাণ করা। 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে, তা একটি বড় অগ্রগতি, তবে বাস্তবায়নে জনগণের অনুমোদন লাগবে। আর যেসব বিষয় ঐকমত্য হচ্ছে না, সেগুলো রাজনৈতিক প্রস্তাব। এটা ফয়সালা করার সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। কিন্তু কেউ যদি মনে করেন আমরা যা চেয়েছি, সেটাই মানতে হবে, তাহলে বলতে হবে এটা গণতন্ত্রের পথ নয়, এটা শক্তি প্রয়োগ পথ। শক্তি প্রয়োগ করলে সংঘাত ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, রাজনৈতিকভাবে বলপ্রয়োগের ফলে যে সংকট তৈরি হবে, তাতে বাংলাদেশের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তার চেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হবে রাজনৈতিক দলগুলো। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতির কারণে নির্বাচনি প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আস্থা রাখতে চাইলেও সরকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা, রাজনৈতিক সহিংসতা এবং প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান এর প্রমাণ। 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!