বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএর হাতে দেওয়ার চিন্তা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বিধিবিধান পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা সূত্রে জানা যায়, নীতিগত সিদ্ধান্তের পর একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরের অর্ডিন্যান্সগুলো সংশোধন করা হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই এটি বাস্তবায়ন করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী বলেন, সভায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক পদের নিয়োগ এনটিআরসিএর মাধ্যমে করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই কমিটি বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনিক পদের নিয়োগের বিদ্যমান বিধিবিধান পর্যালোচনা করে এসব পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এনটিআরসিএর মাধ্যমে চালানো যায় কি না, সে বিষয়ে সুপরিশ করবে। তাদের সুপরিশের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নিয়োগে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা হতো। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভায় কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হতো। শিক্ষা বোর্ড তাদের মধ্য থেকে একজনকে নিয়োগ দিত।
গত ২৮ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে একটি প্রস্তাব পাঠান। প্রস্তাবে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান ও সহকারী প্রধান, সুপারিনটেনডেন্ট, সহকারী সুপার এবং অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে এনটিআরসিএ থেকে প্রার্থী নির্বাচন ও সুপারিশসংক্রান্ত প্রস্তাব বিবেচনার জন্য পাঠানো হলো।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন