ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিখন  ঘাটতি নিরসনে সভা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৮:২৬ এএম
মোহাম্মদপুর

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ওয়াইডব্লিউসিএ মিলনায়তনে গণসাক্ষরতা অভিযানের আয়োজনে সেভ দ্য চিলড্রেনের সহযোগিতায় ‘পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিরসনে রেমেডিয়াল এডুকেশন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক তপন কুমার দাস। সভায় রেমেডিয়াল এডুকেশনের ওপর সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর (এডুকেশন) শাহিন ইসলাম।

এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেন। প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোফাখখেরুল ইসলাম, রুম টু রিডের অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার হাফিজুর রহমান, এডুকোর প্রোজেক্ট ম্যানেজার শরিফুল আলম, নেটজ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনন্দলোক ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সামসুল হুদা, সেভ দ্য চিলড্রেনের ইসিই প্রকল্পের সিনিয়র ম্যানেজার তাহসিনা তায়মুর এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের সিনিয়র ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুছ প্রিন্স।

সভায় অতিথি ছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি-৪-এর উপপরিচালক ফরহাদ আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শাহ শামিম আহমেদ এবং বাংলাদেশ ক্যাথলিক এডুকেশন বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক ও অভিযানের কোষাধ্যক্ষ জ্যোতি এফ গোমেজ।

এ সময় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিরসনে সরকারকে ড্রাইভিং সিটে থাকতে হবে। পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের দেশে বিদ্যমান। সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না, তাই এখানে এনজিওদের কাজ করার সুযোগ আছে, উন্নয়ন সহযোগী এমনকি প্রাইভেট সেক্টরকেও এগিয়ে আসতে পারে। শিখন ঘাটতি যেমন পূরণ করতে হবে তেমনি ঝরেপড়া রোধে মিড ডে মিলটা সব উপজেলায় দ্রুত চালু করতে হবে। যেমন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশপাশের ৪ উপজেলা থাকলেও আদিবাসী অধ্যুষিত উপজেলা নাচোলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা কি করে হয়। উপবৃত্তিটা ৫০০ করার দাবি আমরা বরাবরই করে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে সরকারের ভর্তি নীতিমালার কারণে মাধ্যমিকে ন্যূনতম তিন হাজার টাকা দিতে হয়। একাধিক সন্তান থাকলে একজন চা-শ্রমিক, গৃহকর্মী এবং ঢাকা শহরের বস্তিতে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের সন্তানরা কীভাবে পড়বে। এ জায়গাগুলোয় সরকারকে চিন্তা করতে হবে। এটি কমানোর দাবি রইল আমাদের পক্ষ থেকে।

উন্মুক্ত আলোচনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষা কর্মকর্তা, গবেষক, অভিযান কাউন্সিল ও এডুকেশন ওয়াচ সদস্য এবং দেশি-বিদেশি সংস্থার উন্নয়নকর্মীরা নিজেদের অভিজ্ঞতাসহ সুপারিশ তুলে ধরেন। সভায় অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।