ডাকসুর নির্বাচনের প্রচার যখন তুঙ্গে তখনই অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ডাকসুর আলোচিত জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসুকে। অপারেশনের জন্য বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় তাকে। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরলেও প্রচারে খুব একটা মনোযোগী হতে পারেননি তিনি। গতকাল নির্বাচনের দিন হুইলচেয়ারে করেই একজনের সহযোগিতায় ঢাবি ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। হুইলচেয়ারে বসেই বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিনি হুইলচেয়ারে ঢাবির শারীরিক শিক্ষা ভোটকেন্দ্রে যান প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু। বেলা পৌনে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের ইনডোর গেমস রুমের বাইরে মেঘ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আসলে রেজাল্টের ব্যাপারে ইতিবাচক। আমরা মনে করি, ব্যালটে প্রগতিপক্ষের যে শক্তিগুলো, সেই শক্তিগুলোর জয় হবে।’
ডাকসু নির্বাচনে প্রথম ভোটের অনুভূতি অসাধারণ বলে উল্লেখ করে মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘সবশেষ ডাকসু নির্বাচন যখন হয়েছে, তখন ছয় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে লাইন জ্যামিংয়ের কারণে ভোট দিতে পারিনি।’ এবার তিনি প্রার্থী হওয়ার বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে একবারে ভোট দিতে পারেছেন।
মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘গেলাম, ভোট দিলাম। নিজের ইচ্ছামতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বাছলাম। এই যে পাওয়াটা, এটাই জুলাই অভ্যুত্থানের পাওয়া। এই যে আমরা ভোট দিতে পারতেছি, একটা ভোটের বাংলাদেশ শুরু হলো। সেই সূচনা যে ঘটল, রেজাল্ট যা-ই হোক, সেটা একটা অসম্ভব ইতিবাচক বিষয়।’
নিজের জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে মেঘমল্লার বসু জানান, বিষয়টি ভোটারদের হাতে। তিনি তার কাজ সর্বোচ্চ করছেন। সবকিছু মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা দেখতে হবে। তবে মানুষের কাছ থেকে যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, তাতে তিনি আবেগাপ্লুত।
প্রসঙ্গত, শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি হন ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এ সভাপতি। হাসপাতালে তার অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন