গত ৫ বছরে সেপটিক ট্যাঙ্ক ও সুয়ারেজ লাইন দুর্ঘটনায় ২২৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। সেপটিক ট্যাঙ্কের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল গুলশান-২-এ শান্তা হোল্ডিংস কর্তৃক ১৬ তলা নির্মাণাধীন একটি ভবনে নির্মাণশ্রমিকদের জন্য এ-সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে ৭৫ জন নির্মাণশ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন, সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান, নির্মাণাধীন ভবনের চিফ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার মেজর (অব.) হাফিজ আল আসাদ ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, ছালেহ উদ্দিন। তিনি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
তত্ত্বীয় আলোচনা শেষে স্মোক ইজেক্টর ও এয়ার ভেন্টিলেটর ব্যবহার করে কীভাবে সেপটিক ট্যাঙ্কে বাতাস দেওয়া যায় বা কীভাবে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ভেতরে থাকা দূষিত বাতাস বা গ্যাস অপসারণ করা যায়, তা প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে কীভাবে আগুন নেভানো যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন কীভাবে নেভানো যায় তার কৌশল প্রদর্শন ও চর্চা করানো হয়। দুপুর ১টায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস জানায়, গত ৩১ আগস্ট মুন্সীগঞ্জে একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার সময় ৩ জন শ্রমিক নিহত হন। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হিসাব অনুযায়ী গত ৫ বছরে সেপটিক ট্যাঙ্ক ও সুয়ারেজ লাইন দুর্ঘটনায় ২২৮ জন নিহত হয়েছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন