ঢাকা বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল  হকের জামিন মেলেনি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আব্দুল কাইয়ুম আহাদকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায়ও জামিন পাননি তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার পৃথক দুই আদালতে খায়রুল হকের পক্ষে এসব মামলায় জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন।

এর মধ্যে হত্যা মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১৮-এর বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন। অপর মামলায় ঢাকার ২য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস ইসলাম। খায়রুল হকের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে খায়রুল হকের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহীন বলেন, ‘পৃথক দুই মামলায় আমরা এই বিচারপতির জামিন চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে উভয় আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। প্রত্যাশা করছি, সেখানে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন।’

মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় আব্দুল কাইয়ুম আহাদের ওপরে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত, টিআর শেল, সাউন্ড বোমসহ নানা ধরনের অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়।

এ সময় আব্দুল কাইয়ুম আহাদের মুখে ও বুকে গুলি লাগলে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা পুলিশ বক্সের সামনে তিনি লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তী সময়ে যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন আব্দুল কাইয়ুম আহাদের দুই পায়ে ব্রাশফায়ার করেন। ভিকটিম আহাদকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় গত ৬ জুলাই নিহতের বাবা মো. আলাউদ্দিন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত এক থেকে দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এ মামলার এজাহারনামীয় ৪৪ নম্বর আসামি এ বি এম খায়রুল হক।

এদিকে বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে খায়রুল হককে আসামি করে শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।

এর আগে ২৪ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টায় ধানম-ির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই দিন তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।