দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঢালাওভাবে সাজাতে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসক নতুন করে যোগদান করছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর। তিনি বলেন, ‘কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে খুব দ্রুতই সাড়ে ৩ হাজার ডাক্তার যোগ দিচ্ছেন।’
গতকাল বুধবার রূপালী বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, অধিকাংশ চিকিৎসকই নিয়োগ হয়ে গেছে। যারা ইন্টার্নি করছেন, তারা বাকি রয়েছেন। তারাও শিগগির নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন।
মহাপরিচালক আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন পিএসসি থেকে স্পেশাল বিসিএসের মাধ্যমে তাদের নিয়োগের বিষয়ে ইতিমধ্যে সুপারিশ করা হয়েছে। পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং অন্যান্য কিছু প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করে এ মাসেই তারা যোগদান করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই পেডিয়াট্রিক সার্জন ও স্বাস্থ্যসেবা প্রশাসক।
ডাক্তার মো. আবু জাফর বলেন, সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসকের নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। আরও ৩ হাজার ৮০০ চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ৪৫, ৪৬ ও ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে। বাংলাদেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবার সর্বোচ্চ এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, সারা দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ১২ হাজার ৩৯৭ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। ৩৮তম বিসিএসে সুপারিশ করা হয়েছে ৩ হাজার ১২০ জন। এর মধ্যে ৩০০ জন রয়েছে ডেন্টালের। বাকি ২ হাজার ৮২০ জন সহকারী সার্জন।
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে চিকিৎসকদের শূন্য পদ পূরণ করা হবে। এ বিষয়ে বর্তমান সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। মহাপরিচালক আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত বিশেষ সহকারী ডাক্তার সাইদুর রহমানকে চিকিৎসকের শূন্য পদের বিষয়ে জানানো হলে তারা আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাওয়া সাপেক্ষে চিকিৎসকদের শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।