অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি হালট্রিপ কেলেঙ্কারির অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ও সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তাজবীর হাসান গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত শুক্রবার মধ্যরাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল শনিবার বিমানবন্দর থানার ওসি তাসলিমা আক্তার গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন দেশ ছেড়ে পালিয়ে থাকার পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর তুরস্কের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ এই সহযোগী। ২০২০ সালে গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা নিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় হালট্রিপ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সি। তবে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও অন্তত দুটি দেশের (তুরস্ক ও ভানুয়াতু) নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে মোহাম্মদ তাজবীর হাসান। এ ছাড়াও তার মাল্টার রেসিডেনসি এবং স্পেনের গোল্ডেন ভিসা রয়েছে বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা মেরে দিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর পর ২০২০ সালের মার্চে তাজবীর ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। পরে দুবাইতে অবস্থান করে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ফ্রন্ট কভার হিসেবে দুবাই, স্পেন, মাল্টায় বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সরকারি কর্মকর্তাকে ভানুয়াতু এবং তুরস্কের নাগরিকত্ব কিনতেও সহায়তা করে তাজবীর।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন