ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘কোনো বাংলাদেশি শাসক দেশে মুসলমানদের ভালোর জন্য কাজ করেনি। ইসলাম ঠেকাতে সবাই ষড়যন্ত্র করেছে। আজ যারা ক্ষমতায় যেতে চায়, ক্ষমতায় না যাওয়ার আগেই তারা এমন কোনো অপরাধ নেই, যেটা করছে না। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা ধর্ম বিক্রি করছে। ক্ষমতার জন্য তারা ইসলামবিরোধী কথাও বলতে পারে।’
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ইসলামী যুব আন্দোলন আয়োজিত ‘স্বাধীনতার পথরেখা- ৪৭, ৭১, ২৪ : প্রেক্ষিত আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ।
ফয়জুল করীম বলেন, ‘বাংলাদেশ মুসলমানদের দেশ। এ ভূখ-ে মুসলমানদের আধিপত্যে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয়েছে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ৯৩ হাজার শহীদের মধ্যে ৬৩ হাজার মুসলমান ছিল’। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বাধীন হয়েছি ৪৭ সালে, তখন ধর্মের ভিত্তিতে পূর্ব-পশ্চিম পাকিস্তান হয়েছিল। মুসলমানদের পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছি ৭১ সালে। তবে এরপর থেকে কোনো বাংলাদেশি শাসক দেশে মুসলমানদের ভালোর জন্য কাজ করেনি। বাঙালি-বাংলাদেশি, সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদ নানা তত্ত্ব ঢুকিয়ে দিয়ে মুসলমানদের দমন করেছে। ইসলাম ঠেকাতে সবাই ষড়যন্ত্র করেছে।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘এজন্য আমাদের মুসলমানের দেশ হতে হবে। যখন আপনার কোনো সুনির্দিষ্ট আদর্শ থাকবে না তখন সবাই এর মধ্যে তাদের আদর্শ স্থাপন করতে চাইবে। আমেরিকা, ভারত, চীন, সেকুলারÑ সবাই তাদের আদর্শ এ দেশে স্থাপন করতে চায়’।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘এখন বিএনপি দেশে শেখ হাসিনার ভাষায় কথা বলছে। আসন্ন নির্বাচন সংবিধানের বাইরে চলে যাচ্ছে। নির্বাচন যদি সংবিধানের সমস্যা হয়, তবে এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী? আসন্ন নির্বাচনে নতুন বাংলাদেশের বিনির্মাণের পথ না হলে সেই নির্বাচন মানা হবে না’।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন