সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম

কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৫

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম

কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৫

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দায়িত্ব পালনরত পুলিশের ওপর সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গত শনিবার আওয়ামী লীগ নেতা ও আলোচিত পাথর-বালু ব্যবসায়ী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়াকে গ্রেপ্তারের পরদিন গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনরত সদস্যদের ওপর এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত এবং আলফু মিয়ার অনুসারীদের মাধ্যমে সংঘটিত। রোববার দুপুর ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরের সামনে পুলিশের একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। সার্জেন্টের নেতৃত্বে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা চলাচলরত যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই করছিলেন। একপর্যায়ে একটি ট্রাক বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আটক করা হয়।

অল্প সময়ের মধ্যে স্থানীয় বাস ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি মাহফুজসহ কয়েকজন শ্রমিকনেতা ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা চেকপোস্টে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করেন এবং আটক ট্রাকটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, আলফু মিয়ার গ্রেপ্তারের পর আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করেছিলাম। তাই চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়। হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্রের অংশ।

তিনি জানান, হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং হামলাকারীদের শনাক্ত করতে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ চলছে। খুব শিগগিরই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল অদুদ আলফু মিয়ার অনুসারী। সীমান্তঘেঁষা সাদাপাথর কোয়ারি এলাকা থেকে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনের সঙ্গে তার নাম দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। শনিবার তাকে সাদাপাথর লুটের মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশের ধারণা, তার গ্রেপ্তারের জেরে অনুসারীরা এলাকায় অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে আলফু মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট কোম্পানীগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় অবৈধ পাথর ও বালু উত্তোলনের মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করে আসছে। প্রশাসনের সাম্প্রতিক কঠোর অবস্থানে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

এদিকে ঘটনার পরপরই শ্রমিক সংগঠনের একটি অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করে। পুলিশ দাবি করেছে, এসব প্রচারণার উদ্দেশ্য ছিল চেকপোস্টের বৈধতা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা এবং পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি এড়াতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কোনো ছাড় দেব না। যারা রাষ্ট্রীয় কর্তব্যে বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!