ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় সুমি এলাকার একটি স্টেশনে যাত্রীবাহী দুটি ট্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে একজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সুমির শোসস্তকা রেলস্টেশনে গত শনিবারের হামলায় ৩০ জন আহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি এ হামলাকে ‘বর্বর’ বলে মন্তব্য করেছেন।
জেলেনস্কি বলেন, বেসামরিক মানুষের ওপর যে হামলা হচ্ছে, এটা রুশদের অজানা নয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট গতকাল যখন এমন প্রতিক্রিয়া জানান, তখনো ট্রেনে রুশ হামলার ঘটনায় কেউ মারা যাননি। এর কয়েক ঘণ্টা পর ৭১ বছর বয়সি এক পুরুষ মারা যান বলে জানান স্থানীয় প্রসিকিউটররা। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি বগির ভেতরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থল ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্ত থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার বা ৩০ মাইল ভেতরে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যাত্রীবাহী ট্রেনে দুটি হামলা চালিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটি রাশিয়ার অন্যতম নির্মম কৌশলÑতথাকথিত ‘ডাবল ট্যাপ’, যেখানে দ্বিতীয় হামলাটি আঘাত হানে উদ্ধারকর্মী ও সরিয়ে নেওয়া মানুষদের ওপর।
গত দুই মাসে প্রায় প্রতিদিনই ইউক্রেনের রেল অবকাঠামোতে হামলা বাড়িয়েছে মস্কো।
ইউক্রেন যুদ্ধে বহু হাজার মানুষ নিহত হলেও রাশিয়া বারবার দাবি করে আসছে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করছে না।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রায়ত্ত রেল কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ওলেক্সান্দর পার্তসভস্কি রয়টার্সকে বলেন, আক্রান্ত ট্রেনগুলোর একটি ছিল স্থানীয় কমিউটার সার্ভিস এবং আরেকটি রাজধানী কিয়েভগামী।
রেলপ্রধান আরও বলেন, তারা সব কিছু করছে, যাতে সীমান্তবর্তী ও ফ্রন্টলাইন এলাকাগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়। যাতে মানুষ সেখানে যেতে ভয় পায়, ট্রেনে উঠতে ভয় পায়, বাজারে সমবেত হতে ভয় পায় এবং শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরতে ভয় পায়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন