শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ১১:৩২ পিএম

পরিবার মিলে অনলাইনে প্রতারণা

৩৪ কোটি টাকা পাচার

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ১১:৩২ পিএম

৩৪ কোটি টাকা পাচার

সংঘবদ্ধভাবে অনলাইন প্রতারণা, হুন্ডি কার্যক্রম ও অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে অর্জিত ৩৪ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৯ জন অভিযুক্তসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিআইডি। এই চক্রটির মূল নেতৃত্বে ছিল ভাই-বোন, মা ও ভগ্নিপতিসহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতারক চক্রটি প্রথমে টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করার প্রলোভন দিতো। কেউ প্রস্তাবে রাজি হলে তাকে এমন একটি গ্রুপে যুক্ত করা হতো, যেখানে ভিকটিম ছাড়া অন্য সব সদস্যের ছিল ভুয়া আইডি। ওইসব আইডি থেকে পজিটিভ রিভিউ ও সফলতার গল্প পোস্ট করা হতো, যাতে টার্গেট ব্যক্তির আস্থা অর্জন করা যায়। প্রথম দিকে ভুক্তভোগীদের ৮-১০ হাজার টাকা পরিশোধ করে আস্থা অর্জন করা হতো। এরপর বড় প্রকল্পের প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো।

সিআইডি জানায়, চক্রটি শুধু অনলাইন প্রতারণায় সীমাবদ্ধ ছিল না। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র ও অশিক্ষিত মানুষকে টার্গেট করে সরকারি ভাতার প্রলোভনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করত। এই এনআইডি ব্যবহার করে ভুয়া ব্যাংক ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (বিকাশ, নগদ) অ্যাকাউন্ট খোলা হতো। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জানতেনই না যে, তার নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হতো টেলিগ্রামে প্রতারণা, অনলাইন জুয়া ও হুন্ডির লেনদেনে। জমা করা অর্থ ধীরে ধীরে চক্রের মূল সদস্যদের কাছে স্থানান্তরিত হতো।

সিআইডি জানায়, চক্রটি দেশের অসাধু ব্যবসায়ী ও ঘুষের অর্থও হুন্ডি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করত। তারা একাধিক ভুয়া ও পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ছোট ছোট লেনদেনে প্রকৃত উৎস গোপন রাখত। সবশেষে, সংগৃহীত অর্থ ডিজিটাল হুন্ডি ও ক্রিপ্টো ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হতো।

প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের অভিযোগ যাচাই করে ও তাদের ব্যবহৃত ব্যাংক ও এমএফএস হিসাব পর্যালোচনায় সিআইডি সত্যতা পায়। এরপর নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন- আরিফুল ইসলাম রিফাত (২৩), মো. ইমরান হোসেন (৩০), মো. নুরে আলম (৩৮), মোছা. লিলি আক্তার (৫৫), মোছা. রিমি আক্তার (৩৪), রুমি আক্তার (৩৬), আব্দুল কাদির জিলানী (৪০), মুহা. নেয়ামতুল্লাহ (৩০) ও মো. রিয়াদ (২৫)।

সিআইডি জানিয়েছে, চক্রটির মূল নেতৃত্বে ছিল একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। তারা হলেনÑ আরিফুল ইসলাম রিফাত, তার মা লিলি আক্তার, দুই বোন রিমি আক্তার ও রুমি আক্তার এবং বোনের স্বামী আব্দুল কাদির জিলানী। এই পরিবারের সদস্যরাই মূলত প্রতারণা ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

সিআইডি আরও জানায়, বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট (এফসিইউ)। অভিযুক্তদের পূর্ণ নেটওয়ার্ক উন্মোচন, পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের উৎস শনাক্তে সিআইডির অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!