দেশে এক সপ্তাহে এক কোটির বেশি শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর। এর আওতায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকা পেয়েছে জানিয়ে তিনি, সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২৭৫ শিশুর শরীরে টিকা-পরবর্তী সাধারণ জ¦র ও ব্যথার মতো মৃদু পাশর্^প্রতিক্রিয়ার খবর পেয়েছি আমরা। এর বাইরে আর কোনো টিকার ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের কানে আসেনি।
গতকাল রোববার সকালে মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। মাসব্যাপী চলা এ ক্যাম্পেইনে দেশে প্রায় ৫ কোটি শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
গাউছিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ করেন মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ এজাহারুল হকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর ছাড়া আরও ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এস এম তারিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল এক্সপার্ট রিভিউ কমিটির সহযোগী অধ্যাপক ও সদস্য ডা. নাজমুল হক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক ইমন আমির, ইউনিসেফ বাংলাদেশের হেলথ সেকশন ডা. সলোমন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আশা করছে, এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে টাইফয়েড সংক্রমণজনিত রোগ ও মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে এবং দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচির প্রতি জনসচেতনতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ অক্টোবর থেকে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সারা দেশে একযোগে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। এ কর্মসূচিতে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪ কর্মদিবসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া হবে। শনিবার ও বাকি দিনগুলোয় নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্রে এবং ৩০ অক্টোবরের পর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেওয়া হবে কমিউনিটি পর্যায়ে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন