সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০৩:১২ এএম

শেকৃবি উপাচার্য ও নিপসম অধ্যাপককে আইনি নোটিশ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০৩:১২ এএম

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ এবং জাতীয় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক গোলাম সারোয়ার বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার। ড. কবিরুলের অভিযোগ, ২০১৪ সালে তাঁর একটি মৌলিক গবেষণাপত্র হুবহু নকল করে ২০১৭ সালে নিজেদের নামে প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক লতিফ ও গোলাম ছারোয়ার।

রোববার ড. বাশারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ সংশ্লিষ্টের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান। সেখানে তিনটি প্রধান দাবি জানানো হয়েছে।

দাবিগুলো হলো- নকল প্রবন্ধটি অবিলম্বে ‘প্রগ্রেসিভ এগ্রিকালচার’ নামের সাময়িকী থেকে প্রত্যাহার করা; অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত ও একাডেমিক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব প্রদান।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক পদক্ষেপ না নিলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে ড. বাশার দাবি করেছেন, তাঁর ২০১৪ সালে প্রকাশিত ‘ঢাকা শহরের কিছু নির্বাচিত পার্ক ও বাগানে মশার পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক গবেষণাপত্র নকল করে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ‘ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে মশার প্রজাতির বৈচিত্র্য’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গবেষণাপত্রের সারাংশ, সারণি, চিত্র, মানচিত্র, সূত্র এবং মূল পাঠ্যাংশ– সবই প্রায় শব্দে শব্দে অনুলিপি করা হয়েছে। অধ্যাপক বাশারের ভাষায়, এটি একটি স্পষ্ট এবং ইচ্ছাকৃত বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের চুরি। এটা কোনো অনিচ্ছাকৃত ভুল নয়।

চৌর্যবৃত্তির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা অধ্যাপক গোলাম সারোয়ার নিজেকে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গোলাম সারোয়ার কখনোই তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে নিপসমকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে অধ্যাপক আব্দুল লতিফ সমকালকে বলেন, ‘এই গবেষণায় আমার নাম ব্যবহার হলেও আমার থেকে অনুমতি নেননি গোলাম সারোয়ার।  আইনি নোটিশ পাওয়ার পর উকিলকে আমি এই তথ্য জানিয়ে দিয়েছি। গবেষণার সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই।’

গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাবো’।  অনুমতি ছাড়া গবেষণায় উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফের নাম কেন ব্যবহার করলেন জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!