ডিজিটাল অবকাঠামো প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পরবর্তী প্রজন্মের ফাইবার রিইনফোর্সড পলিমার (এফআরপি) টাওয়ার স্থাপন করেছে। সম্প্রতি গোপালগঞ্জে এই টাওয়ারটি স্থাপন করা হয়। প্রচলিত স্টিলের তুলনায় হালকা, টেকসই এবং অধিক পরিবেশবান্ধব এই নতুন প্রজন্মের টাওয়ার দ্রুত স্থাপনযোগ্য এবং বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী কার্যক্ষমতা নিশ্চিত করবে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইডটকোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এইচএস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেডের সহযোগিতায় স্থাপিত এই টাওয়ারটি মজবুত এবং মরিচা প্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি সহজে স্থাপনযোগ্য। তুলনামূলক হালকা হওয়ায় স্বল্প ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যেই টাওয়ারটির পরিবহন ও স্থাপনের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। ফলে আশপাশের এলাকায় স্বাভাবিক কাজ-কর্মে বিঘœ হ্রাসের পাশাপাশি দ্রুততর সময়ে সেবা চালু করা সম্ভব হয়।
ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) সুনীল আইজ্যাক বলেন, ‘এফআরপি টাওয়ারটি শুধু একটি অবকাঠামোগত মাইলফলক নয়। এটি একটি টেকসই, ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত টেলিকম ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। উদ্ভাবনী উপকরণ এবং আরও পরিবেশবান্ধব স্থাপন-পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা এমন এক অবকাঠামো নির্মাণ করছিÑ যা কার্যকর, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল ভিত্তিকে আরও মজবুত করবে।’
প্রচলিত স্টিল টাওয়ারগুলো সাধারণত দ্রুত ক্ষয় হলেও এফআরপি টাওয়ারের যৌগিক গঠন একে মরিচা, প্রাকৃতিক আবহাওয়া ও রাসায়নিক পদার্থের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে উপকূলীয়, আর্দ্র ও শিল্প এলাকাতেও এই টাওয়ার দীর্ঘস্থায়ী ও অক্ষুণœ থাকে। এফআরপি প্রযুক্তি থাকায় টাওয়ারটির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়, কারণ এতে বারবার রঙ করা বা জং-প্রতিরোধী প্রলেপ দেওয়ার দরকার হয় না। এতে যেমন ব্যয়ও কমে, তেমনি পরিবেশের ক্ষতিও হ্রাস পায়। এ ছাড়া, টাওয়ারটির আধুনিক ও নান্দনিক নকশা প্রচলিত ল্যাটিস ও মনোপোল টাওয়ারের চেয়ে একে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন