চাকসু নির্বাচনের রেশ না কাটতেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে ব্যানার টানিয়ে অস্তিত্বের জানান দিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ। গতকাল রোববার ভোরে আলাওল হলের প্রধান ফটকে চাররঙা ব্যানার সাঁটায় আওয়ামী লীগের এই ছাত্র সংগঠন। ছাত্রলীগের ব্যানারকে ঘিরে ক্যাম্পাস রাজনীতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও কে বা কারা এই ব্যানার সাঁটিয়েছে তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি শিবির অধুষ্যিত চাকসুর নেতারা।
ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আমার মাটি আমার মা, সেন্ট মার্টিন ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হতে দেব না। জাগো বাঙালি, জাগো মাতৃভূমি রক্ষা করো। শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে।’ পাশাপাশি শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ছবি, অপর পাশে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
ব্যানার টানার মুহূর্তে ক্যাম্পাসে শুরু হয় তোলপাড়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্ররাজনীতির বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা ইব্রাহিম রনি লিখেন, ‘রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার টাঙানো হয়েছে। তারা ভুলে গেছে, এটি শহিদ তরুয়া ও শহিদ ফরহাদের রক্তসিক্ত ক্যাম্পাস। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর ছাড় নেই।’
ছাত্রদল নেতা নোমান আরও সতর্ক করেন, ‘নিষিদ্ধ ব্যানার গেটের ওপর সাঁটানো হয়েছে। প্রশাসনের কিছু সাবেক ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।’
রকিবুল হাসান নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে এটি একটি পরিকল্পিত চেষ্টা। ক্যাম্পাসের শান্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে। প্রশাসনের নীরবতা কিছু ছাত্রলীগকে আরও বেপরোয়া করেছে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা জরুরি।’
ফেসবুকসহ অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শিক্ষার্থীরা তীব্র সমালোচনা করছেন। মনে করিয়ে দিচ্ছেÑ যদিও ২০২৪ সালের আগস্টের পর থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কোনো কর্মকা- দেখা যায়নি, সম্প্রতি শাটল ট্রেন ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানসহ গ্রাফিতি লক্ষ্য করা গেছে।

