ঢাকা মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫

বললেন জামায়াত আমির

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম

দেশের ১৮ কোটি মানুষের বিজয় নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, ন্যায় বিচার, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং তাঁবেদারি নয়Ñ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করছে। আগামী নির্বাচনে ছলে-বলে কৌশলে ক্ষমতায় যেতে কেউ কেউ ষড়যন্ত্রের জাল বিচ্ছাচ্ছে।’ তরুণদের ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন এবং আগামীতে ইসলামী দলগুলোর হাতে দেশ তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।

গতকাল সোমবার খুলনার ঐতিহাসিক বাবরী চত্বরে (শিববাড়ী মোড়) ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুর্নীতি, অন্যায় আর তাবেদারিমুক্ত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে এ বিভাগীয় সমাবেশ করেছে আন্দোলনরত ৮টি ইসলামী ও সমমনা রাজনৈতিক দল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীরসাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এ সমাবেশ।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘গু-ামি করে, সেন্টার দখল করে, সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন, সেদিন ভুলে যান। সেই সুযোগ আর আপনারা পাবেন না।’ তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তার দল প্রস্তুত বলে ঘোষণা দেন।

একটি রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘নির্বাচনকে পেছানোর জন্য আপনারাই এখন ষড়যন্ত্র করছেন।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেন, ‘নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে ইন্টেরিম সরকারকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। কলঙ্ক নিয়ে আপনাদেরও বিদায় নিতে হবে।’ জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের দাবি জানান তিনি।

এর আগে গতকাল দুপুর ১২টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহারসহ জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। নেতারা ঘোষণা করেন, ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে এবং এই ঐক্য ভবিষ্যতে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।