মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আফতাব চৌধুরী সাংবাদিক ও কলামিস্ট

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ০৩:১৬ এএম

নগরায়ণ: পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা

আফতাব চৌধুরী সাংবাদিক ও কলামিস্ট

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ০৩:১৬ এএম

নগরায়ণ: পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা

জনসংখ্যাধিকত্য ও ক্রম-প্রসারমান ব্যবসা-বাণিজ্য ক্রমান্বয়ে পল্লি এলাকাগুলোও চাঙ্গা হচ্ছে। উপজেলা সদর ও এমনকি ছোটখাট হাট-বাজারের আশপাশ এলাকাগুলো উপশহর হিসেবে গড়ে উঠছে। ক্রমাগত পাকা আবাসস্থল সম্প্রসারিত ব্যবসায়িক কেন্দ্র গঠিত হচ্ছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এ সমস্ত দ্রুত প্রসারমান নগরগুলো সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। স্থানীয় জনগণ তাদের সুবিধানুযায়ী এ সমস্ত আবাসস্থল, শপিংমল ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানÑ মিল কারখানাগুলো ইচ্ছামতো তৈরি করছে এবং পরবর্তীতে এরই রূপরেখায় সরকার রাস্তাঘাট, কালভার্ট ইত্যাদি তৈরি করছে। উল্লেখযোগ্য, যে সংকটটি বড় আকারে ধারণ করছে সেটি হচ্ছে পল্লি এলাকা থেকে ব্যাপক আকারে লোক শহরে ভিড় জমাচ্ছে, যার কারণে শহরের লোকসংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, বেড়ে চলেছে পানি, বিদ্যুৎ ও আবাসন চাহিদা।

পল্লি এলাকার লোকজনের শহরগামিতা রোধ করার জন্য সুষ্ঠু নগর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। নগর পরিকল্পনাগুলো করতে হবে সুদূর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনার প্রেক্ষিতে নগরগুলো সাজাতে হবে। আর এতে স্থানীয় জনসাধারণকে সব ধরনের নগর সুবিধা দিতে হবে। এভাবে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে যদি নগরগুলোকে সাজানো যায় তাহলে একদিকে একটি কাজ করে পরবর্তীতে প্রয়োজনে তা আবার ভেঙে ফেলতে হবে না। যার কারণে একদিকে অর্থ অপচয় রোধ  অন্যদিকে পল্লি এলাকা থেকে লোকজন আর শহরে ভিড় জমাবে না। আরবান প্ল্যানিং এবং ম্যানেজমেন্ট প্রত্যেকটি থানায় গঠন করা প্রয়োজন।

প্রাথমিকভাবে সরকারের উচ্চপর্যায়ের টিমের মাধ্যমে এলাকাগুলো যথাযথ জরিপ করে নগর পরিকল্পনাগুলো প্রণয়ন করা প্রয়োজন এবং পরবর্তীতে এটি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রত্যেকটি উপজেলা শহরেও একটি ব্যবস্থাপনা টিম করা বাঞ্ছনীয় যা ইদানীং সরকার চিন্তা-ভাবনা করতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।   

বড় বড় শহরগুলোতে গড়ে উঠছে দালান- এতটুকু খালি জায়গা কোথাও নেই। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা একটি বিরাট সংকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে শহর গড়ে উঠার এবং অপরিসর ড্রেনেজের কারণে পানি দ্রুত অপসারিত হতে পারছে না। বিল-ঝিল ইত্যাদি ভরাট করে গড়ে উঠছে আবাসিক প্রকল্প। কংক্রিটের আস্তরণে ঢেকে যাচ্ছে শহরগুলো। ফলে নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। একটি আধুনিক সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে ক্রমাগত যে বিল, ঝিল, ডোবাগুলো ভরাট হচ্ছে তা বন্ধ করা প্রয়োজন। এজন্য সরকারের একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা অতীব জরুরি।

এদিকে বড় শহর, বন্দরগুলোতে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে যানবাহন। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এমনটিও দেখা যায় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স যানজটে পড়ে গন্তব্যে পৌঁছার পূর্বেই রোগীর মৃত্যু ঘটে। তা ছাড়া জরুরি ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য জরুরি যেমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পরিবহনও সঠিক সময়ে অকুস্থলে পৌঁছাতে পারে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এ সমস্যা নিরসন কল্পে শহরের প্রতিটি রাস্তায় একটি সংরক্ষিত লেন তৈরি করা উচিত যা দিয়ে শুধু জরুরি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, মালামালবাহী ট্রাক, বাস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পরিবহন চলাচল করবেÑ ফলে দ্রুততার সঙ্গে যানবাহনগুলোর অকুস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হবে। 

অন্য যে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক সেটি হচ্ছে বড় বড় শহরগুলোতে আইনের তোয়াক্কা না করে সিটি সার্ভিসের বাস, টেম্পু ও অন্যান্য যানবাহন যেখানে-সেখানে থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করে। পেছনের গাড়ি যাতে ওভারটেক করে যেতে না পারে সেজন্য রাস্তার মাঝখানে গাড়ি বাঁকাভাবে অথবা রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করানো হয়Ñ ফলে সৃষ্টি হয় যানজট। লজ্জাজনক হলেও সত্য এ সংক্রান্ত ব্যাপারে আইন থাকলেও তার প্রয়োগ নেই। সরকারকে এ ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। এছাড়া যত্রতত্র গড়ে উঠা অবৈধ স্ট্যান্ডকে উচ্ছেদ করে শহরের বাইরে স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। 

আইন না মেনে ডোবা, পুকুর ও জলাধার ভরাট করার কারণে জরুরি অগ্নি নির্বাপণে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে কাজেই এ বিষয়টি নিয়ে সরকারের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। শহরের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার জন্য একটি সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন দরকার। যান্ত্রিক ক্রটিপূর্ণ গাড়ি এবং ময়লা-আবর্জনা অপসারণে যাতে গন্ধ না বেরোয় এবং যথাযথভাবে প্রত্যেকটি এলাকা থেকে ময়লা অপসারণ যাতে করা যেতে পারে সে ব্যবস্থা করা উচিত। সরকার সচেষ্ট হলে বড় বড় শহরগুলোতে আবর্জনা ও বর্জ্য থেকে গ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন করা সম্ভব। এতে একদিকে নগরীর বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে অপরদিকে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখা যাবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শহরের আদলে যে এলাকাগুলো গড়ে উঠছে ওই এলাকাগুলোর উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত। এমনও দেখা যায় আবাসন ভবনগুলোর রাস্তা সরু, ফলে অগ্নি, মুমূর্ষু রোগীবাহী গাড়ি ইত্যাদি প্রয়োজনে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না। কাজেই বিষয়গুলো জনগণের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবেÑ সৃষ্টি করতে হবে গণসচেতনতা। 

লক্ষ্য করা যাচ্ছে শহরগুলোতে মশার উপদ্রব প্রকট। সরকারের একার পক্ষে তা সমাধান অনেক ক্ষেত্রে সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। এক্ষেত্রে এলাকায়Ñ সামাজিক সংগঠন-মহল্লা কমিটি ইত্যাদিকে উদ্বুদ্ধ করে স্থানীয়ভাবে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মশকনিধন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার। উল্লেখ করা যেতে পারে স্কাউট, বিএনসিসি গার্লস গাইড, রেডক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন সংগঠনের যুবকদের উৎসাহিত করে এদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে মশকনিধন কর্মসূচি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে সরকারকে মশকনিধন ওষুধ ও ¯েপ্র মেশিন সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একটি কথা সত্য যে এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মশা-মাছির উপদ্রব সেখানে কম। স্থানীয় সামাজিক সংগঠনগুলো যার যার এলাকাকে ময়লা-আবর্জনামুক্ত রাখতে তৎপর হতে হবে। এ ছাড়া যেখানেই সম্ভব বৃক্ষচারা বিশেষ করে দেশীয় ফলদ গাছের চারা রোপণ করে ছায়াঘেরা পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে

হকারদের পুনর্বাসন কল্পে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে। শহরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকাসমূহে যে সমস্ত হকাররা রয়েছে তাদের সঠিক তথ্য ছবি সংগ্রহ করে ইতোমধ্যে যে সমস্ত সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে পরিকল্পনা অনুযায়ী হকার মার্কেট করা যেতে পারে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনামাফিক এ হকার মার্কেটসমূহ করা যেতে পারে। এতে করে একদিকে হকাররা পুনর্বাসিত হবে অপরদিকে যানজট নিরসন ও পথচারী চলাচল নির্বিঘœ হবে। শহরের ছিন্নমূলদের সঠিক তালিকা ও তথ্য সংগ্রহ করে সরকারি পর্যায়ে তাদের আবাসন ব্যবস্থা গড়ে দেওয়া যেতে পারেÑ এক্ষেত্রে সামাজিক সংগঠনগুলো সরকারের সহযোগী হিসাবে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।

বড় বড় শহরগুলোতে ক্রমাগত যানজট বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট উল্লেখযোগ্য। প্রথমে ঢাকা শহরে যানজট নিরসন কল্পে জরিপ করে বিশেষ বিশেষ রুটে পরবর্তীতে পুরো শহরে- ভূগর্ভস্থ ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যেমন করা হয়েছে বিশ্বের বড় বড় শহরগুলোতে। পরবর্তী পর্যায়ে দেশের অন্যান্য শহরগুলোতে এ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

অগ্নি কিংবা যেকোনো দুর্ঘটনা থেকে জনগণকে রক্ষাকল্পে জবংপঁব ড়ঢ়বৎধঃরড়হ বা উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য দক্ষ ঞৎধরহরহম প্রাপ্ত উদ্ধার কর্মী ও ঊয়ঁরঢ়সবহঃ সংগ্রহে থাকা একান্ত প্রয়োজন। সরকারের উচিত উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য দক্ষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্ধার কর্মী ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা। উদ্ধার কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া ও জরুরি ভিত্তিতে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে সরবরাহ করা একান্ত প্রয়োজন।

বড় বড় শহরগুলোতে যে সমস্যাটি লক্ষ্য করা যায় সেটি হচ্ছে ট্রাফিকিং ও দুর্নীতির কারণে সমস্যাটি প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। অনেক শহরে ট্রাফিকিং সিগন্যাল লাইট থাকলেও তার তোয়াক্কা কেউ করে না আবার কোনো কোনো স্থানে অকেজো অবস্থায় এসব পড়ে আছেÑ ফলে সৃষ্টি হয় যানজট ও দুর্ঘটনা। এগুলোকে সংস্কার ও মেরামত করা প্রয়োজন। এ সমস্যা সমাধানে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন এ কাজে ট্রাফিক পুলিশকে সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে।

আর একটি বিষয় লক্ষণীয় সেটি হচ্ছে সড়ক বাতি থাকলেও তা অনেক ক্ষেত্রে অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকে। আবার এমনও দেখা যায় যে দিনের আলোতেও সড়ক বাতিগুলো নেভানো হয় নাÑ এ ধরনের অব্যবস্থা নিরসন করা প্রয়োজন।

অন্য যে বিষয়টি লক্ষণীয় সেটি হচ্ছে, শহরাঞ্চলে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকা-ের সমন্বয়হীনতা। ব্যবহার্য পানি সরবরাহের লাইন, গ্যাস, টেলিফোন ইত্যাদি কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাবে বার বার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয়। ফলে সরকারের বিরাট অঙ্কের অর্থ অপচয় হয়ে যায়। এ সমস্ত কার্য পরিচালনার জন্য সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। এতে একদিকে সরকারের অর্থ সাশ্রয় হবে অপরদিকে জনগণ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে।

নগরায়ণের অন্যতম যে বিষয়টি জরুরি সেটি হচ্ছে, নাগরিকদের রিক্রিয়েশনের ব্যবস্থা করা। খোলা উদ্যান, পার্ক সচরাচর ঢাকা, চট্টগ্রাম বাদ দিয়ে অন্যান্য শহর যেমন সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল বা বিভাগীয় শহরগুলোতে চোখেই পড়ে না। শিশু-কিশোর-তরুণ-যুবক-বৃদ্ধ প্রত্যেকের মনস্তাত্ত্বিক এবং শারীরিক (খেলাধুলা) উভয় প্রকারের রিক্রিয়েশন প্রয়োজন। তাদের মানসিক এবং শারীরিকভাবে গড়ে উঠার পেছনে শরীরচর্চা ও খেলাধুলা দরকার। বড় বড় নগরগুলোতে এ ধরনের ব্যবস্থা অপ্রতুল। শুধু প্রধান প্রধান নগরগুলোতে এ ব্যবস্থা নিলে হবে না পল্লি অঞ্চলগুলোতে যে নগরের আদলে গড়ে উঠছে ওই অঞ্চলগুলোতেও এ ধরনের খেলাধুলা মাঠ-পার্কের ব্যবস্থা করা বাঞ্ছনীয়। এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে শারীরিক, মানসিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশে নগরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে সক্ষম হবে।

অন্য যে বিষয়টি হচ্ছে ইমারত নির্মাণ সংক্রান্ত। ইমারত নির্মাণে ডিজাইন ও প্রকৌশলিক নীতিমালা অনেকেই অনুসরণ করছেন না, ফলে যে পরিমাণ মালামাল বা মেটেরিয়াল দিয়ে বিল্ডিং তৈরি করা প্রয়োজন সে পরিমাণ মালামাল বা মেটেরিয়াল দিয়ে ইমারত নির্মাণ করা হচ্ছে না। এ কাজের জন্য ব্যবহৃত মালামালের গুণাগুণ বিচার বিবেচনা করা উচিত। প্রকারান্তরে নিম্নমানের বিল্ডিং মেটোরিয়াল দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে ফলে বহু দুর্ঘটনাও ঘটছে। সরকারের উচিত বিষয়টির ওপর দৃষ্টিপাত করা।

একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, অনেক পৌরসভা পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধাদি বাস্তবায়নের আগে বিভিন্ন নামে অতিরিক্ত কর আরোপ করছে। শুধু পৌরসভা ঘোষণার প্রেক্ষিতে স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা চিন্তা করে ওই সমস্ত পৌরবাসীকে অতিরিক্ত কর আরোপে জর্জরিত করা হয়েছে, ফলে জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সরকারকে এ বিষয়টির দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। কর আরোপের আগে পৌর এলাকার নাগরিক সুবিধাদি নিশ্চিতকরণ এবং স্থানীয় লোকজনের অর্থনৈতিক অবস্থার কথাও চিন্তা ভাবনা করা উচিত।

নগরের সৌন্দর্য রক্ষা সময়ের প্রয়োজনে বৃদ্ধি এবং পরিচর্যার জন্য সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা হাতে নেওয়া প্রয়োজন। শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য গ্রহণ রক্ষাকল্পে উদ্যান, তোরণ, মন্যুমেন্টস, ফুল ও ফলদ গাছ লাগানো এবং এগুলো পরিচর্যার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা প্রয়োজন। যেখানে সেখানে পোস্টার ও দেয়াল লিখন শহরের সৌন্দর্যকে বিনষ্ট করে। এ সমস্ত কুরুচিপূর্ণ কাজ আইন প্রণয়ন করে  কঠোর হস্তে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। সরকারি-আধাসরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনগুলো সৌন্দর্য রক্ষার তাগিদ নির্দিষ্ট মেয়াদে রং ও সংস্কারের একটি বিধি বিধান প্রণয়ন করা উচিত। এটি একদিকে যেমন শহরের সৌন্দযকে রক্ষা করা যাবে অপরদিকে সংস্কারের ফলে ভবনগুলোর স্থায়িত্বও বৃদ্ধি পাবে।

আফতাব চৌধুরী সাংবাদিক ও কলামিস্ট

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!