দুই বাংলার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী ইধিকা পাল এবারের পূজাকে দেখছেন এক বিশেষ উপলক্ষ হিসেবে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি খোলাখুলি জানিয়েছেন, তার সাম্প্রতিক বাণিজ্যসফল সিনেমা ‘খাদান’-এর পর এই পূজা হবে একেবারে অন্যরকম। ইধিকার ভাষায়, ‘এ বছরের পূজাতেই বুঝতে পারব, জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে, আগামী দিনে কী কী করতে পারব, কোনটা পারব না।’
তবে পূজার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে তার বেড়ে ওঠার গল্প। দক্ষিণ কলকাতায় শাসনের মধ্যে বড় হওয়া ইধিকা জানালেন, ছোটবেলায় বাবা-মায়ের কড়া নজরদারির কারণে পূজার সময়ও খুব একটা স্বাধীনতা পাননি। একটু বড় হওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে রাতে বেরোনোর অনুমতি মেলে, সঙ্গে আসে সামান্য হাত খরচও। সেই কটা দিনই ছিল তার জন্য ভীষণ আনন্দের।
প্রেমের প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন ইধিকা। দ্বিধাহীনভাবে জানান, ‘অনেকে পূজার সময় প্রেম করত। আমি সুযোগ পাইনি। কারণ, পূজাটা আসার আগেই মা সেই প্রেম ভাঙিয়ে দেয়। এরপরও চেষ্টা করেছিলাম দু-একবার ধরা পড়ে যাই বাড়িতে। তাই আর প্রেম করা হয়নি।’ অভিনেত্রীর মতে, মা সবসময় তাকে কড়া শাসনে রেখেছেন। মজার ব্যাপার হলো- ইধিকা বলেন, কয়েক বছর পর মা নিজেই তাকে উৎসাহ দেবেন প্রেম করার জন্য।’
অভিনয় জীবনের অভিজ্ঞতার কথাও শোনালেন তিনি। ইধিকার মতে, শিল্পীদের পেশা সহজ নয়। ঝড়-বৃষ্টি, অসুস্থতা সবকিছুকে উপেক্ষা করেই কাজ করতে হয়। কিন্তু দর্শকের ভালোবাসাই সব কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। রাস্তায় কেউ ছবি তুলতে চাইলে তিনি কখনো ফিরিয়ে দেন না।
তবে কাজের বাইরে নিজের জীবনযাপনে কিছু বিশেষ অভ্যাস রয়েছে তার। সারা বছর চরিত্রের প্রয়োজনে সাজতে হলেও পূজার সময় মেকআপ থেকে নিজেকে ছুটি দেন তিনি।
কিন্তু খাওয়াদাওয়া নিয়ে তার অন্যরকম টান। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো কোনো রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পরিকল্পনা থাকে প্রতিবছরই। আর শাড়ির প্রতি রয়েছে তার বিশেষ টান। বিশেষ করে ‘কিশোরী’ গানের পর থেকে শিফন শাড়ির জনপ্রিয়তা বেড়েছে, যা তিনিও বেশ উপভোগ করছেন।
ছোটবেলায় শ্রীদেবী ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো তারকাদের অনুকরণ করতেন ইধিকা। এখন তিনি নিজেই হয়ে উঠেছেন অনেকের অনুকরণীয়। আর এবারের পূজা তার কাছে কেবল উৎসব নয়, বরং জনপ্রিয়তার এক নতুন পরীক্ষার মঞ্চ।