আজ বিশ্বনন্দিত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন। এবারের জন্মদিন যথারীতি পারিবারিক আয়োজনেই উদযাপিত হবে বলে জানালেন গুণী এই সংগীতশিল্পী। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে রুনা লায়লার জন্মদিনকে ঘিরে এ প্রজন্মের শিল্পীদের বিশেষ বিশেষ কোনো পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু এবার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় বর্ণাঢ্য আয়োজন থেকে বিরত থাকলেন রুনা লায়লা। রুনা লায়লার ভাষ্যমতে জন্মদিনের মুহূর্ত থেকে শুরু করে জন্মদিনের দিন, তার পরেরদিন এবং সেই ধারাবাহিকতায় তিনি যেভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পান তাতে প্রতিটি মুহূর্তেই তিনি সবার শুভেচ্ছা, ভালোবাসা আর দোয়ায় সিক্ত হন জীবন্ত এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী। রুনা লায়লা তার ৬০ বছরের সংগীত-জীবনে বাংলা, হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, উর্দু, সিন্ধি, ইংরেজিসহ মোট ১৮টি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। তার গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘দমা দম মাস্ত কালান্দার’। নতুন করে গানটি তিনি গেয়েছেন কোক স্টুডিও বাংলা প্ল্যাটফর্মে। গতকাল কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে পাবে ‘দমা দম মাস্ত কালান্দার’ গানটি।
কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল নতুন এ সিজনে গাইবেন রুনা লায়লা। তবে এ বিষয়ে বরাবর চুপ ছিল কর্তৃপক্ষ। গত বছরই মূলত রুনা লায়লাই নিশ্চিত করেছিলেন কোক স্টুডিও বাংলায় তিনি গেয়েছেন। তবে কোন গানটি, তা জানাননি। অবশেষে, গত ১৪ নভেম্বর প্রকাশ করা হলো টিজার, আর গতকাল প্রকাশ পেল পুরো গান। এদিকে রুনা লায়লার জন্মদিন উপলক্ষে আজ প্রকাশ পাবে তাকে নিয়ে লেখা ‘মায়ার সিংহাসন’ উপন্যাস। আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদিরের লেখা উপন্যাসটির উপজীব্য বাংলাদেশের জনসংস্কৃতিতে রুনা লায়লার আবির্ভাব, সংগ্রাম ও কিংবদন্তি শিল্পী হয়ে ওঠা।
প্রকাশ করছে চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন। জন্মদিন প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, ‘এই সময়ে এসে মূলত পরিবারের সদস্যদের নিয়েই জন্মদিন উদযাপন করা হয়, এবারও যথারীতি তাই হবে। তবে দেখতে দেখতে তো জীবনের অনেকগুলো বছর পেরিয়ে এলো, বহু জন্মদিনের অনুষ্ঠানই হয়েছে। এরমধ্যে ছোটবেলার জন্মদিনগুলোই ছিল মনে রাখার মতো, বিশেষত মা নতুন জামা বানিয়ে দিতেন, মজার খাবার রান্না করতেনÑ এগুলোই বিশেষভাবে মনেপড়ে। সংগীত জীবনের চলার পথে দেখতে দেখতে ষাট বছরেরও বেশি সময় পেরিয়েছে। এই চলার পথে আমার বাবা-মা, আমার বড় বোন দীনা লায়লাসহ পরিবারের সবার ভীষণ সাপোর্ট ছিল। তা না হলে এতদূর আসা সম্ভব ছিল না।
হাজার হাজার গান করেছি, যখনই যে গান গাইতে গিয়েছিÑ মনে হয়েছে কঠিন গান, রেকর্ডিং-এর সময়টা ছিল চ্যালেঞ্জিং তা যে ভাষারই হোক না কেন। সেই গান গেয়ে নতুন করে অনেক কিছু শিখেছি, নিজেকে আরও নতুনভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। এ সময়ে এসেও আমি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে ভালোবাসি। এটাও ভীষণ সত্যি, আমি এত এত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছিÑ যে কারণে আজ এতদূর আসতে পেরেছি।’ রুনা লায়লার ছোটবেলা থেকে আজ অবধি সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ফারজানা, ইয়াসমিন, সাবরিনা, ফারহানা। রুনা লায়লার নিজের গাওয়া সবচেয়ে প্রিয় বাংলা গান হচ্ছে ‘বুকে আমার আগুন জ্বলে’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘যখন আমি থাকব না কো’।

