নাট্যদল বিবেকানন্দ থিয়েটারের ২৫তম প্রযোজনায় আজ মঞ্চায়িত হবে দস্তয়ভস্কির বিখ্যাত ছোটগল্প দ্য জেন্টেল স্পিরিট অবলম্বনে নাটক ‘ভাসানে উজান’। অপূর্ব কুমার কু-ুর নাট্যরূপ এবং শুভাশীষ দত্ত তন্ময়ের নির্দেশনায় নাটকটিতে একক অভিনয় করেছেন অভিনেতা মো. এরশাদ হাসান। নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী নিয়ে অভিনেতার দীর্ঘ দুই দশকের নাট্যচর্চার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিনহাজুর রহমান নয়ন
একক অভিনয়ের সিদ্ধান্ত কীভাবে নিলেন?
‘ভাসানে উজান’ নাটকের গল্প, এর মনস্তত্ত্ব এবং চরিত্রের গভীরতা আমাকে শুরু থেকেই টানছিল। নির্দেশক ও নাট্যকারের সঙ্গে আলোচনা করেই সাহস করে একক অভিনয়ে নেমেছি। আমি চাই দর্শক ভাবুক, অনুভব করুক, আলোচনায় যোগ দিক। যদি তারা মঞ্চ থেকে বের হয়ে নিজের জীবন সম্পর্কে নতুন কিছু ভাবতে পারেÑ তাহলেই সফলতা।
দস্তয়ভস্কির ‘দ্য জেন্টেল স্পিরিট’ অবলম্বনে নির্মিত নাটক, এই চ্যালেঞ্জটা কীভাবে দেখছেন?
দস্তয়ভস্কির মনস্তত্ত্ব বহুমাত্রিক। তার লেখা মঞ্চে ধরতে গেলে প্রচুর প্রস্তুতি লাগে। এই চ্যালেঞ্জটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে।
একক অভিনয়ের সবচেয়ে কঠিন দিক কোনটি?
মঞ্চে একা থাকলে চরিত্র, শক্তি; আঙ্গিক ও বাচিক অভিনয় সবকিছু নিজের ওপর নিতে হয়। এক সেকেন্ডের জন্যও মনোযোগ হারালে গল্পের ধারাবাহিকতা ভেঙে যেতে পারে।
চরিত্রটির আবেগ ও অন্তর্দহন ফুটিয়ে তুলতে কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন?
গভীর পাঠ, চরিত্র বিশ্লেষণ; শরীরী ভাষা এবং ভয়েস-মড্যুলেশন নিয়ে দীর্ঘ অনুশীলন করেছি। পাশাপাশি মনোবিজ্ঞান বিষয়ক কিছু গবেষণাও করেছি।
এই নাটকের কোন দিকটি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি স্পর্শ করেছে?
আত্মদর্শন বা সেল্ফ রিফ্লেকশন এটা আমাকে নাড়া দিয়েছে। চরিত্রের ভেতরের প্রশ্নগুলো আমার ব্যক্তিজীবনেও আলো ফেলেছে।
বিবেকানন্দ থিয়েটারের ২৫তম প্রযোজনায় আপনি, এটা কি বাড়তি চাপ তৈরি করেছে?
অবশ্যই। ২৫তম প্রযোজনা মানে দলের জন্য এক বিশেষ মাইলস্টোন। সেই মান রক্ষায় আমাকেও সর্বোচ্চ দিতে হচ্ছে।
একক নাটক দর্শকদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন?
একক নাটক দর্শককে চরিত্রের খুব কাছে নিয়ে যায়। দর্শক অনুভব করে, এই মানুষটি আসলে কে, কী ভাবছে, কেন এমন করছে।
নতুন প্রজন্মের নাট্যশিল্পীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
নিয়মিত অনুশীলন, পড়াশোনা এবং আত্মমর্যাদা বজায় রাখা। থিয়েটার শুধু অভিনয় নয়, এটা একটা জীবনচর্চা।

