রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মারুফ আহমেদ, কুমিল্লা

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০২:৩৬ এএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিমসার বাজার ঘিরে মহাসড়কে যানজট

মারুফ আহমেদ, কুমিল্লা

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০২:৩৬ এএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিমসার বাজার ঘিরে  মহাসড়কে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার এলাকায় প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানজটে পড়ছেন যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা। উল্টোপথে ট্রাক চলাচল, সড়কের ওপর পার্কিং এবং মালামাল লোড-আনলোডের কারণে এই দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

দেশের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। যাত্রীবাহী বিলাসবহুল বাস থেকে শুরু করে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের লাইফলাইন এই সড়কটি। কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরের পাশাপাশি পর্যটন এলাকা কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামগামী যাত্রীদের মূল পথ এটিই। অথচ নিমসারের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে প্রতিদিনই যানজট এখন নিয়মিত দৃশ্য।

নিমসার বাজারে ঢাকাগামী লেনে প্রতিদিন দুপুরের পর থেকেই রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, রংপুর, জয়দেবপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আম ভর্তি বড় ট্রাক আসে। এসব ট্রাক উল্টোপথে ঢুকে মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে পাইকারি আড়তের সামনে পার্কিং করে। এরপর সেখানে ট্রাক থেকে আম খালাস করে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে ঢাকামুখী অংশে কাবিলা থেকে শুরু করে নিমসার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কে গাড়ি চলাচল থেমে থেমে হয়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দুর্ভোগ প্রকট আকার ধারণ করে।
ঢাকা-কক্সবাজার ও চট্টগ্রামগামী একাধিক বাসচালক জানান, ‘নিমসার যানজটে প্রতিদিন আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে।’ তারা জানান, ‘উল্টোপথে ট্রাক প্রবেশ ও সড়কে মাল খালাস বন্ধ করা গেলে যাত্রীদের এ ভোগান্তি হতো না।’

স্থানীয় বাসিন্দারাও যানজটের জন্য বাজার ঘিরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাকে দায়ী করছেন। তাদের অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে আড়ৎ তৈরি করেছে। কিছুদিন আগে উচ্ছেদ করা হলেও আবারও সেখানে অস্থায়ী দোকান উঠেছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তানভীর হোসেন বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে আড়ত গড়ে তোলায় সড়কের ওপরেই গাড়ি পার্কিং করে মালামাল খালাস করা হচ্ছে। ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে সড়ক ও জনপথ বিভাগ আবারও উচ্ছেদ অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ এবং নিয়মিত মনিটরিং ছাড়া জাতীয় এই মহাসড়কে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব সম্ভব নয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!