বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০১:২২ এএম

প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০১:২২ এএম

প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সাবরাং শাহপরীর দ্বীপ করিডর দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এবার বন্ধ হওয়ার পথে টেকনাফ স্থলবন্দরও। ফলে সীমান্ত বাণিজ্যনির্ভর কয়েকশ ব্যবসায়ী ও প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক জীবিকা হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। সরকারি কোনো কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয় অর্থনীতি মারাত্মক সংকটে পড়েছে। টেকনাফ পর্যটন, কৃষি ও বাণিজ্যের জন্য সম্ভাবনাময় এলাকা। কিন্তু করিডোর ও স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় এই সীমান্ত জনপদ এখন অনিশ্চয়তার আঁধারে নিমজ্জিত।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে স্থলবন্দর থেকে আয় হয়েছিল প্রায় ৬৪০ কোটি টাকা, আমদানি হয়েছিল ১ লাখ ৮৮ হাজার টন পণ্য থেকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি নেমে আসে ৬৮ হাজার টনে, রাজস্ব দাঁড়ায় ৪০৭ কোটি টাকায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি হয় মাত্র ১১ হাজার টন, রাজস্ব ৮৭ কোটি টাকা-যা আগের বছরের একই সময়ের (৪৭ হাজার টন, ২৫৭ কোটি টাকা) তুলনায় বড় ধরনের পতন। চতুর্থ ত্রৈমাসিকে রাজস্ব আদায় শূন্যে নেমে আসে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

বন্দরে মজুত থাকা কয়েক হাজার ব্যাগ সিমেন্ট, ২ হাজার ৭০০ ব্যাগ আলু ও ১ হাজার ৯০ ব্যাগ সফটড্রিংক দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানি না হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান, ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার জাসিম উদ্দিন চৌধুরী। আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এক্সপ্রেস এজেন্সির প্রতিনিধি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘পণ্য রপ্তানি করা যাচ্ছে না কারণ আরাকান আর্মির অনুমোদন নেই। মিয়ানমার থেকে কোনো পণ্যই টেকনাফ স্থলবন্দরে আসছে না। দ্রুত সমাধান জরুরি।’

বন্দর বন্ধ থাকায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ শ্রমিক দৈনিক মজুরি হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। শ্রমিক কামাল হোসেন বলেন, ‘আগে প্রতিদিন কাজ থাকত, এখন দিনের পর দিন খালি হাতে বাড়ি ফিরি। সংসারের খরচ চালানোই কষ্ট হয়ে গেছে।’

টেকনাফ সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, সীমান্ত বাণিজ্যের এ অচলাবস্থা চলতে থাকলে বহু ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে যাবে। সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এই অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা নাজুক অবস্থায় রয়েছেন। শিপ লাইন পুনরায় চালু করতে সরকারকে তড়িৎ হস্তক্ষেপ করতে হবে।

ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার জাসিম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, যদিও আমদানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তবুও ২২ হাজার ৮৫০ ব্যাগ সিমেন্ট, ২ হাজার ৭০০ ব্যাগ আলু, ১ হাজার ৯০ ব্যাগ সফটড্রিংক দীর্ঘ সময় বিদেশে রপ্তানি বন্ধ থাকায় সবই নষ্ট হয়ে গেছে। কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পোর্টের কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরকারি উদ্যোগ ছাড়া এই সংকট কাটবে না। তা না হলে টেকনাফের সীমান্ত অর্থনীতি আরও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!