পটুয়াখালীতে অনিয়মের তথ্য চাওয়ায় স্থানীয় এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এস. এম. দেলোয়ার হোসাইনের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে পটুয়াখালী সার্কিট হাউজের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। গত সোমবার ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে আসে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম, রইসুল ইসলাম ইমন। তিনি যমুনা টেলিভিশনের বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সার্কিট হাউজের সামনে অভিযুক্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে দেলোয়ার হোসাইন দ্রুত তার ব্যক্তিগত গাড়িতে ওঠেন। এ সময় বিষয়টি ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন সাংবাদিক রইসুল। হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে এসে দেলোয়ার সাংবাদিককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। টানাহেঁচড়ার এক পর্যায়ে সার্কিট হাউজ চত্বরে সাংবাদিক রইসুলকে লাঞ্ছিত করেন তিনি। পরে সহকর্মীরা এগিয়ে এলে গাড়ি ফেলে একটি অটোরিকশায় চেপে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা। পটুয়াখালী পৌরসভার সড়কের সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনাই ধরা পড়েছে।
জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বাউফল উপজেলার ৫টি প্রকল্পে অনিয়মের তথ্য অনুসন্ধান করছিলেন সাংবাদিক রইসুল। অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পর তিনি জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি উচ্চবাচ্য করে ফোন কেটে দেন। পরে সার্কিট হাউজে গিয়ে তথ্য জানতে চাইলে এ লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজামত ও ট্রেজারি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার সাকিব উল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ভুক্তভোগী সাংবাদিককে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে জেলা প্রশাসক অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’