আড়াই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত সোমবার রাতে প্রথম চালানে ভারতীয় একটি ট্রাকে ১৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করে। এর আগে নানা প্রতিবন্ধকতায় ২০২৩ সালের মার্চ থেকে বন্ধ ছিল বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি।
পেঁয়াজের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো বাগেরহাটের এস এম ওয়েল ট্রেডার্স এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন। বন্দর থেকে পেঁয়াজের চালানটি ছাড় করার জন্য গতকাল মঙ্গলবার কাস্টম হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ লিংক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৩০৫ ডলারে আমদানিমূল্য দেখানো হয়েছে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। আমদানীকৃত পেঁয়াজ মানভেদে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে।
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে প্রথম দিনেই স্থানীয় বাজারে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমে গেছে। এর আগে বাজারে আমদানি কমে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু পেঁয়াজ আমদানির খবরে মঙ্গলবার সকালে বন্দর এলাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি বাড়লে দাম আরও কমার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছিল। পরে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে ভারত। বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাড়াচ্ছিলেন দাম। এতে নি¤œ আয়ের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় এ খাদ্যদ্রব্য কিনতে গুনতে হচ্ছিল অতিরিক্ত টাকা। অবশেষে সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়।
জাহাঙ্গীর আলম নামে এক পেঁয়াজ ক্রেতা বলেন, আমদানির খবরে প্রথম দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। এতে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা যে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছিল সেটা বোঝা গেল।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী শ্যামল কুমার নাথ জানান, আজ (গতকাল) প্রথম চালানে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস এম ওয়েল ট্রেডার্স ১৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। পেঁয়াজের মান পরীক্ষা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।