শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ০৭:১০ এএম

গার্ডার ফেটে ঝুঁকিতে সেতু

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ০৭:১০ এএম

গার্ডার ফেটে ঝুঁকিতে সেতু

গার্ডার ফেটে ঝুঁকিতে সেতু

  • বন্ধ হয়ে গেছে ভারী যান চলাচল
  • চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার একটি সড়কের আধা কিলোমিটারের মধ্যে দুটি সেতুর রিইনফোর্সড সিমেন্ট কংক্রিটের (আরসিসি) গার্ডার ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে দুটি সেতু। এ ছাড়া দেবে গেছে একটি সেতুর অর্ধেক অংশ। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে ভারী যান চলাচল। তবে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হালকা যানবাহনসহ হাজার হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রাণহানিসহ বড় দুর্ঘটনা।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজারসংলগ্ন এলাকায় দুধকুমার নদের ওপর সেতু দুটি ৩০ থেকে ৩৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয়। ওই সড়কের আধা কিলোমিটারের মধ্যে দুটি সেতুর অবস্থান। ১৫ মিটার ও ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু দুটি কয়েক বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, বরাদ্দ না থাকার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি সংস্কার করা যাচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা রাফিজুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করলেই কাঁপতে থাকে। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে জানমালের ক্ষতিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে অতি দ্রুত সেতু দুটি সংস্কার করা দরকার। নইলে শিলখুড়ি ইউনিয়নবাসীর যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।

পল্লি চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষসহ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। সেতু দিয়েই অসুস্থ ও গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেই সঙ্গে কৃষি ও ব্যবসায়ী পণ্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমদানি ও রপ্তানি করা হয়। সেতু দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ইউনিয়নবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার না হলে শিক্ষা, ব্যবসাসহ সব ক্ষেত্রেই ইউনিয়নটি আরও পিছিয়ে পড়বে।

ইউপি সদস্য শামসুল হক বলেন, ৩০-৩৫ বছর আগে সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কয়েক বছর ধরে সেতু দুটির পলেস্তারা খসে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এর ফলে পুরো ইউনিয়নের মানুষ আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে। আবার ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সেতু দুটি সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দুটি নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ পাওয়ামাত্রই নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!