ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুর আলম হৃদয় (২৮) নামের এক জুলাইযোদ্ধাসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মো. সরোয়ারে আলম খান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সীপাড়া এলাকা থেকে নুর আলম হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ভোরে চোরাই মোটরসাইকেলসহ সাজ্জাদকে এবং এর আগে দুপুরেই মাসুদ নামে অপর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার শেখ আবুল কালামের ছেলে নুর আলম হৃদয় (২৮), মুন্সীপাড়া এলাকার মাজাহারুলের ছেলে রিফাদ হাসান মাসুদ (২৪) এবং পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সুবেদ আলীর ছেলে সজিব হোসেন সাজ্জাদ (২৭)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাফিজ উদ্দীন জানান, গত দুদিনে ঠাকুরগাঁও দেশ এক্সরের সামনে থেকে একটি বাজাজ ডিসকোভার ১২৫ ও একটি হিরো স্প্লেন্ডার মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় থনায় মামলা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মূল দুই চোরকে শনাক্ত করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ ক্রেতাকেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি সরোয়ারে আলম খান বলেন, ‘গ্রেপ্তার তিনজনেই একটি বড় চক্রের সদস্য। আমরা আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। খুব শিগগিরই পুরো সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এদিকে গ্রেপ্তার জুলাইযোদ্ধা নুর আলম হৃদয়কে একজন কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোর বলে দাবি করেছেন বিশাল রহমান, কামরুল ইসলাম নামের ২ ফেসবুক ব্যবহারকারী। তারা তাদের নিজ নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুকে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, একজন কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোরকে জুলাইযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কেন? এবং কীভাবে?
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন